বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল নতুন মিউজিক অ্যালবাম বানাতে চলেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (madan mitra)। র্যাপের মিশেলে এই গানের সঙ্গে মদন মিত্রের আইকনিক স্টাইল দেখার জন্যও তুঙ্গে ছিল উত্তেজনা। সদ্য মুক্তি পেয়েছে সেই মিউজিক ভিডিও ‘ইন্ডিয়া ওয়ানা হ্যাভ হার বেটিয়া’। আর এটাই এখন ‘টক অফ দ্য টাউন’।
বিভিন্ন কারণে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মদন মিত্রের এই মিউজিক ভিডিও। কামারহাটির বিধায়কের ‘বিন্দাস স্টাইল’ তো নজর কাড়ছেই, পাশাপাশি দূর্গারূপী অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্তকে (manoshi sengupta) নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। বরং বলা ভাল, ট্রোলের শেষ নেই। হ্যাঁ, মদন মিত্রের মিউজিক ভিডিওতে দূর্গা সেজে ট্রোল হচ্ছেন মানসী। আর তা নিয়েই ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী।
মিউজিক ভিডিওটিতে কাজ করেও একেবারেই খুশি নন তিনি। তাঁর বক্তব্য, আগুপিছু না দেখে কাজ করে একরকম ফেঁসে গিয়েছেন তিনি। দূর্গা সেজে যে ট্রোলড হতে হবে তা ভাবতেও পারেননি মানসী। কিন্তু ভিডিওতে যে ভাবে তাঁকে তুলে ধরা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী।
ভিডিও নির্মাতাদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে মানসী বলেন, এই মিউজিক ভিডিওর জন্য মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সে কারণেই ব্যস্ত শিডিউল থাকা সত্ত্বেও রাজি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভিডিওটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই যে হারে ট্রোল হচ্ছে তাতে ভেঙে পড়েছেন মানসী।
তিনি জানান, অন্যান্য পুজোর অ্যালবামের মতোই এই ভিডিওটিও হবে বলে বলে ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর ভুল ছিল, আগে থেকে শুটিং, ক্রিয়েটিভ টিম সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর নেননি তিনি। মানসীর আক্ষেপ, আরেকটু পেশাদারিত্বের সঙ্গে তৈরি করা যেতে পারত ভিডিওটি।
অভিনেত্রী এও জানান, মদন মিত্রের বিরুদ্ধে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই। বিধায়কের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক। তাছাড়া ভিডিওটি তো তিনি বানাননি। নির্মাতাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন মানসী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি সাফাই দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তাঁকে ভাল পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল বলেই তিনি রাজি হয়েছিল দূর্গা সাজতে।