বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামীকাল বিপুল জনসমাগম মাঝে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘শহীদ দিবস’ সমাবেশ। গত দুবছর করোনার (Corona) কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় এই সমাবেশ। তবে এ বছর লাখ লাখ লোকের মাঝেই পালিত হবে ‘একুশে জুলাই’ অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ হয়ে গিয়েছে এবং এ অনুষ্ঠানে একাধিক চমক থাকতে পারে বলেও মতপ্রকাশ করেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে বড় প্রশ্ন, তবে কি এই চমকের মাঝে দলবদলের সম্ভাবনা থাকতে চলেছে? ইতিমধ্যে এই জল্পনাই ক্রমশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির (BJP)। তবে শেষপর্যন্ত কি হবে, তার উত্তর আগামীকালই মিলবে।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে একাধিক নেতা নেত্রী বিজেপিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে, তৃণমূলের জয়লাভের পর অবশ্য বদলায় পরিস্থিতি। গত এক বছরে পদ্মফুল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেছেন বহু নেতা। মুকুল রায় থেকে রাজীব ব্যানার্জী এবং অর্জুন সিংয়ের মতো অভিজ্ঞ নেতাদের দলবদলের কারণে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল পুনরায় একই ঘটনা ঘটলে দলের সংগঠন যে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে, তা বলাবাহুল্য।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সূত্রের খবর, আগামীকাল ধর্মতলায় অনুষ্ঠিত একুশে জুলাই অনুষ্ঠানে অর্জুন-পুত্র পবন সিংও শাসকদলে যোগ দিতে পারেন। একইসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দলবদলের জল্পনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন পূর্বেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শোভন-বৈশাখী। এরপরে ‘অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে’ মন্তব্যের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করতেও শোনা যায় শোভনকে। ফলে তাদের দলবদল কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরো দুই সাংসদ এবং বহু বিজেপি নেতা নেত্রী ঘাসফুলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা।
কয়েকদিন পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২১ শে জুলাই অনুষ্ঠানে চমক থাকছে।” যার পরেই শুরু হয় দলবদলের জল্পনা। আর সেই জল্পনা সত্যি করে আগামীকাল তালিকায় কার কার নাম থাকতে চলেছে, সেটাই দেখার।