বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা বাংলা জুড়ে একাধিক মামলার তদন্ত করছে ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI)। আর্থিক দুর্নীতিতে ধৃত প্রভাবশালীদের জেরা থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত করা তথ্য খতিয়ে দেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলাতে হাঁসফাঁস অবস্থা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। কর্মী কম থাকায় আদালতের সামনে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে। এবার তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে ২০ জন ইডি আধিকারিকের একটি দল এসে যোগ দিয়েছে। এমনটাই খবর কলকাতা দফতর সূত্রে।
আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে বড় ধরনের অভিযান শুরু হবে বলে দাবি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপস্থিত হয়েছেন ইডি-র ২০ জন আধিকারিক। বুধবার বৈঠকের পরেই বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইডি। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নগদ ৫০ কোটি টাকা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি, প্রচুর সোনার অলংকার উদ্ধার করেছেন ইডি-র আধিকারিকরা। আগামী দিনে জেলায় জেলায় অভিযান শুরু হতে পারে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকরী সংস্থার আধিকারিকরা। দুর্নীতির বিস্তৃতি এতটাই যে তলানির সন্ধানে যেতে চান তদন্তকারীরা।
জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলাতেও আর্থিক তছরুপের সন্ধানে নামবে ইডি। গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হককে অনেক আগেই হেফাজতে নেয় ইডি। এবার আবার তাঁকে হেফাজতে নিতে চলেছে ইডি। সেইসঙ্গে এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মাঠে নামতে চলেছে ইডি (ED)। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের এই বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? অনুব্রত এবং তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে যে ১৭ কোটি টাকা মিলেছে, সেই মামলাতেও যুক্ত হবে ইডি।
এছাড়া আরও ১৯ জন তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রী ও নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় ইডি-কে পার্টি করারও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। মনে করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই সেই মামলাতেও এবার ময়দানে নামবে ইডির দল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।