বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাম সরকার শুরু করে গোবিন্দপুর পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment) না হওয়ায় গত দু’বছর ধরে এই স্কুলটি বন্ধ। সব থেকে আশ্চর্যের কথা এই স্কুলটি মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর বিধানসভা এলাকায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্কুলটিকে রক্ষা করার জন্য বহুবার মন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি।
জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব বলছে, তৃণমূল সরকার চায়না জনগণের শিক্ষা। তাই একের পর এক স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, গোবিন্দপুর পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় পুরুলিয়ার (Purulia) মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত গোবিন্দপুর গ্রামে অবস্থিত। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা তিন একর জমি দান করেছিলেন এই বিদ্যালয় তৈরি করার জন্য।
সূত্রের খবর, ১৯৮৪ সালে ৬ জন শিক্ষক, ২ জন শিক্ষাকর্মী এবং ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে পথ চলা শুরু করে এই বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে এরপর গড়ে ওঠে বিদ্যালয় ভবন , রান্নাঘর ও শৌচাগার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সমস্যা শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। ২০১১ সালে একজন ও ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষক সহ চারজন শিক্ষক অবসর গ্রহণ করেন।
মাত্র একজন শিক্ষক ও দুইজন শিক্ষা কর্মী নিয়ে অত্যন্ত কষ্টের সাথে চলতে থাকে এই বিদ্যালয়। ২০১৪ সালে ২ জন অতিথি শিক্ষক পড়াতে এলেও ২০১৬ সালে তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সালে ওই বিদ্যালয়ের বাকি এক স্থায়ী শিক্ষকও অবসর নেন। পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ২০১৭ সালে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৪০ জনে।
এরপর শিক্ষকের অভাবে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করানো হয়। ২০২১ সালে দুই শিক্ষা কর্মী অবসর নিলে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। স্কুলের চারপাশে গজিয়ে ওঠে আগাছা। বিদ্যালয় থেকে চুরি হয়ে যায় চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, দরজা, সৌর লাইট, জলের ট্যাঙ্ক। স্কুলের জমি দাতা থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা, সকলেরই এখন দাবি এই বিদ্যালয়টি পুনরায় শুরু করা হোক।