বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিঙ্ঘু বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে করোনার থেকে বাঁচার জন্য জারি স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মের এক ভাগও পালন হচ্ছে না। না সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে, আর না কৃষকরা মাস্ক পরছে। আন্দোলনে অনেক বয়স্ক কৃষক পাঞ্জাব থেকে এসে যোগ দিয়েছেন। ঠাণ্ডার মধ্যে রাস্তার ধারে ট্র্যাক্টর, ট্রলিতে থাকা কৃষকরা এবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অসুস্থ কৃষকদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ কাশী আর জ্বরে আক্রান্ত। এটা করোনার প্রথম লক্ষণ। এরপরেও সেখানে করোনার পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।
অবাক করা বিষয় হল, ওষুধের দোকানে মাস্ক থাকার পরেও কৃষকরা সেগুলো ব্যবহার করছে না। যদি এখনই হরিয়ানা আর দিল্লী সরকার এই বিষয়ে নজর না দেয়, তাহলে আগামী দিনে এই পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে আর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।
পাঞ্জাব থেকে দিল্লী বর্ডারে আসা রমণদীপ সিং বলেন, বিগত চারদিন ধরে সেখানে স্বাস্থ্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আর এই চারদিনে প্রায় এক হাজার কৃষককে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশীরভাগ সর্দি, কাশি আর জ্বরে আক্রান্ত। এর সাথে সাথে অনেকেই আবার পেটের সংক্রমণে ভুগছে। সেখানে স্বাস্থ্য সুবিধার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। আর না সেখানে করোনার পরীক্ষা করানো হচ্ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশনেরও ব্যবস্থা নেই।
জানিয়ে দিই, বর্ডারে পাঁচের বেশি ওষুধের স্টল লাগানো হয়েছে আর সেখানে অনেক অসুস্থ কৃষকই ওষুধ নেওয়ার জন্য জচ্ছে। যদি একজন কৃষকও করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে গোটা আন্দোলনে করোনা ছড়াতে বেশি সময় নেবে না। এছাড়াও হাজার হাজার মানুষের জন্য দিন-রাত খাবার তৈরি হচ্ছে। এই কারণে আন্দোলনের জায়গায় আবর্জনার পাহাড় তৈরি হচ্ছে। আর এই কারণে কৃষকদের পেটের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।
করোনার থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত নিয়মের পালন না হওয়ার কারণে স্থানীয় আর সেখানকার দোকানদাররাও এখন সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছে। এক দোকানি জানান, কৃষক সামগ্রী কেনার জন্য দোকানে আসছেন, কিন্তু তাদের মুখে কোনও মাস্ক নেই। আর সেই কারণে নিজেকে বাঁচানো অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর সাথে সাথে অনেক স্থানীয়রাই কৃষকদের মধ্যে গিয়ে তাদের কথা শুনছে। স্থানীয়দের মধ্যেও করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে। যেসব কৃষক সর্দি, জ্বরের মতো রোগে আক্রান্ত তাদের করোনার পরীক্ষা হওয়া উচিৎ, এরফলে তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা করা সম্ভব হবে আর অন্যরাও মহামারী থেকে বাঁচতে পারবে।