বাংলা হান্ট ডেস্ক : আপাতত ইডির (ED) হেফাজতে থাকলেও খুব তাড়াতাড়ি তিহাড় সংশেধনাগারই (Tihar Jail) ঠিকানা হতে পারে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। কিন্তু তার আগে তিহাড় সংশোধনাগারে তল্লাশি করে যা উদ্ধার হল তাতে চোখ কপালে সংশোধনাগার আধিকারিকদের। এক বন্দীর কাছ থেকে ২৩টির মতো সার্জিক্যাল ব্লেড, ওষুধ, স্মার্টফোন এবং একটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তিহাড় সংশোধনাগারের নিরাপত্তারক্ষীদের তরফ থেকে শুক্রবারই এই খবর জানান হয়। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার কিছু বন্দির কার্যকলাপ দেখে সন্দেহ হয় রক্ষীদের। তারপরই তল্লাশিতে মেলে ওইসব নিষিদ্ধ জিনিস। জেলের বাইরে থেকে ছুঁড়ে ওইসব জিনিস ভেতরে ঢোকানো হয় বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে।
সাধারণত, দেশের কুখ্যাত ও দাগী সমস্ত অপরাধীদের ঠিকানা হয় এই সংশোধনাগারে। সম্প্রতিই আবগারি কেলেঙ্কারিতে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া(Manish Sisodia) রয়েছেন এই সংশোধনাগারেই। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondal)-কে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই বোঝা যায় কেষ্টরও ঠিকানা হতে পারে এই তিহার সংশোধনাগার(Tihar Jail)-ই।
সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দিদের তল্লাশি চালিয়ে মোট ২৩টি সার্জিকাল ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সেল থেকে মাদক, দুটি স্মার্টফোন ও বেশ কিছু সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও আরও বেশ আরও একাধিক জিনিস উদ্ধার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে। কোথায়, কীভাবে গোরু পাচারের টাকা পৌঁছে যাচ্ছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করছে ইডি-র গোয়েন্দারা। সেই মর্মেই অনুব্রত মণ্ডলকে বারবার জেরা করা হচ্ছে। গোরু পাচারকাণ্ডের ‘মাথা’ এনামুল হক, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ চালকল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যর সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।