সপ্তাহে দু’দিন আসতেন পাড়ায়! একদিন ঘটালেন বিপত্তি! ফুচকাওয়ালার কাণ্ডে গোটা গ্রামে আতঙ্ক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফুচকা মানেই জিভে জল, ফুচকা মানেই দে ছুট, ফুচকা মানেই লম্বা লাইন… আর পাড়ায় ফুচকাকাকুর গাড়ি আসা মানেই ফুচকা কিনতে যাওয়া মাস্ট। কিন্তু এই ফুচকাই কাল হল বহু মানুষের জন্য। ফুচকায় বিষক্রিয়ার জেরে অসুস্থ বহু। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার নোয়াপাড়া এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অসু্স্থ হয়ে পড়ছেন এলাকার একের পর এক বাসিন্দা। বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গ্রামে প্রত্যেক রবি আর সোমবার করে আসতেন ফুচকাওয়ালা। এই সপ্তাহের প্রথম দিনও সশরীরে হাজির হয়েছিলেন পাড়ায়‌। পাড়ার বহুজন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে তেঁতুলগোলা জলে ফুচকা চুবিয়ে মুখেও টপাটপ পুরেও দিয়েছিলেন। কিন্তু রাত বাড়তেই বাঁধে বিপত্তি। শুরু হয় পেটে ব্যথা, বমি, পেট খারাপ-সহ একাধিক শারীরিক অসুস্থতা। বাড়তে থাকে শরীরের তাপমাত্রাও। এই অবস্থায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কেবল একজন বা দু’জন নয়, সবমিলিয়ে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গ্রামের ৮০ জন মানুষ। অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন পুরুষ, মহিলা ও শিশুরাও।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফুচকাওয়ালার থেকে ফুচকা খাওয়ার পর থেকেই অল্প অল্প অসুস্থ হতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। এরপর সোমবার ও মঙ্গলবার বাড়তে থাকে অসুস্থতা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল মাথার যন্ত্রণা, জ্বর ও পেট খারাপ বাড়তেই থাকে। অনেককে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় কুলগাছি গ্রামীণ হাসপাতাল ও হাড়োয়া হাসপাতালে।

এই প্রসঙ্গে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের এক কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বর্তমানে ২০ জন গ্রামবাসী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনেকেই আউটডোরে চিকিৎসা করিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মূলত খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন রোগীরা। ফুচকা থেকেই বিষক্রিয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। কীভাবে ফুচকা থেকে বিষক্রিয়া হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর