বাংলাহান্ট ডেস্ক : একেই শীতের মরসুম তার ওপর আবার রবিবারের দুপুর। এমন ওয়েদারে একটু পিকনিক (Picnic) হলে মন্দ হয় না। এমনটাই বোধহয় ভেবেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের (Tamluk) তাম্রলিপ্ত পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সেইমতো বাজারপত্র করেই কষিয়ে রান্না করা হয়েছিল মাংস, ভাত, চাটনি, পাপড়। সব মিলিয়ে বলা যায়, এক্কেবারে জমে গিয়েছিল রবিবাসরীয় দুপুর। কিন্তু, রাত গড়াতেই বাধল বিপত্তি। দুপুরের জমজমাট পিকনিকের মজাটাই যেন মাটি হয়ে গেল। ঠিক কী হয়েছিল পিকনিকের পর ?
জানা গিয়েছে, রবিবার মধ্যরাত থেকে ওই ওয়ার্ডের একাধিক ব্যক্তি পেটে ব্যাথ্যার (Abdominal pain) রীতিমতো কাতরাতে শুরু করেন। বহু মানুষের বারবার বমির (Vomiting) সমস্যা দেখা দিলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এলাকার বহু বাসিন্দার অসুস্থতার খবর পেয়েই সোমবার সকালে এলাকায় পৌঁছন তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৌমেন চক্রবর্তী। দ্রুত মেডিক্যাল টিম গঠন করে চিকিৎসা শুরু করার পরেই জানা যায়, কোন ব্যক্তিরই শারীরিক অবস্থার খুব বেশি অবনতি ঘটে নি। কেবলমাত্র একজনকেই স্যালাইন দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল রূপনারায়ণ নদীর ধারে এই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কাউন্সিলরের নেতৃত্বেই এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য সকাল থেকেই এলাহি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। টিফিনে ছিল, ছোলা ভাজা, মুড়ি আর বেগুনি। দুপুরে পাতে পড়েছিল এক্কেবারে বাঙালিআনায় ভরপুর ভাত, ডাল, আলু ভাজা, বাঁধাকপি, মাংস, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি। খাওয়ার পর প্রাথমিক অবস্থায় কারোর কোন সমস্যা না হলেও মাধরাত থেকে ওয়ার্ডের বেশির ভাগ বাসিন্দার একই অবস্থা।
যদিও অসুস্থতার কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় তবে পুরসভার তরফে সমগ্র পরিস্থিতির ওপরেই নজর রাখা হচ্ছে। চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষক্রিয়া বলে মনে হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। অন্যদিকে, খবর পেয়ে এলাকার বিজেপি নেত্রী সোমা দে ঘটনাস্থলে যান। তাঁর অবশ্য দাবি, শতাধিক মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ।