বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার পর রীতিমত পালিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় শেখ হাসিনা। কিন্তু তারপর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গার আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস জ্বলছে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) জেল (Jail) থেকে পালাল বন্দীরা
জেলায় জেলায় রাতভর সংঘর্ষ আর গুলির শব্দ। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী সংসদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সোমবার বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতি (President)।
আরোও পড়ুন : ফিরছে ৭১’র স্মৃতি! উত্তাল বাংলাদেশ! শুধু নিরাপদ আশ্রয় পেতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে বাংলাদেশীরা
এদিকে শেরপুর জেলে (Jail) হামলা চালিয়ে ৫০০এর বেশি বন্দিকে মুক্ত করে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। যাদের মধ্যে বাংলাদেশে (Bangladesh) নিষিদ্ধ জামাত-উল-মুজাহিদিন ও আনসারুল বাংলার জঙ্গিরাও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে আবার কুড়ি জন দাগী সন্ত্রাসবাদী। শেরপুরে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরে মিছিল করেছে বিক্ষোভকারীরা। তারপর রাতেই এই কান্ড। জেলে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
আরোও পড়ুন : ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ! ছেলের কথায় বদলান সিদ্ধান্ত! দেশ ছাড়ার আগের কয়েক ঘণ্টা কেমন ছিল হাসিনার?
রাতভর চালানো হয় লুটপাট। অপরদিকে দেদার লুটপাট চালানো হয়েছে চট্টগ্রামের ছয়টি থানায়। পুলিশের সদর দপ্তরের গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করলে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। তবে পড়শী দেশের এমন পরিস্থিতি দেখে চিন্তার উদ্রেক হয়েছে ভারতে (India)। এদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত। তার বেশিরভাগ অংশটাই পশ্চিমবাংলার এলাকা জুড়ে।
এছাড়াও ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম এবং অসমেও রয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই করা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তগুলি। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির আঁচ যাতে, এই দেশে এসে না পৌঁছায় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের চোখে মুখে আতঙ্ক।