বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের দুয়ারে পঞ্চায়েতে নির্বাচন। বহু কল্পনা-জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের (Panchayat Vote) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। আর তার পর থেকেই জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চলছে প্রচার, সভা-জনসভা। পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া সমস্ত রাজনৈতিক দল। তবে এরই মাঝে ফের জোর ধাক্কা শাসকদল তৃণমূলে (Trinamool Congress)।
ফের সেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)! ভোটের দিন ঘোষণা করতে না করতেই চরম অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। শনিবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার (Rahul Sinha) উপস্থিতিতে শতাধিক তৃণমূল কর্মী, তৃণমূলের দুর্নীতি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। নেতার হাত থেকেই তুলে নিলেন গেরুয়া পতাকা।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের আগেই এই প্রথম নয়। গত মে মাসেই কোচবিহারের দিনহাটার প্রায় ১৫০ পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে। আবার সে মাসেই আলিপুরদুয়ারে কুমারগ্রাম বিধানসভার কোহিনুর গ্রামপঞ্চায়েতে ৩৫ টি পরিবারের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার খবর সামনে আসে।
যদিও এসব বিষয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল। তবে লাগাতার দলবদলের প্রভাব ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে কি না, তা বোঝা যাবে সময় এলেই। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ। আগের বারের ন্যায় এবারেও গোটা রাজ্যে এক দফাতেই হতে চলেছে নির্বাচন। অন্যদিকে,কমিশন ঘোষণা করেছে, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে।
নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত মোট ৪৯০৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম। মোট ৪২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছে তারা। তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস মোট ৭১৭ টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল দুদিন শেষে তৃণমূলের মাত্র ৬৩৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৭৪ হাজার। যার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন রয়েছে ৬৩২২৯ টি। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯৭৩০ টি এবং জেলা পরিষদে রয়েছে ৯২৮ টি আসন।