বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে বোলপুর থানার আইসি-কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে। তৃণমূলের (Trinamool Congress) নির্দেশে কেষ্ট ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক থামেনি। এই আবহে বীরভূমে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন। শাসকদল ছেড়ে বিজেপি-তে (BJP) নাম লেখালেন শতাধিক কর্মী।
বীরভূমে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের (Trinamool Congress)?
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বীরভূমে সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু পরিবর্তন করেছে জোড়াফুল শিবির। জেলা সভাপতির পদ খুইয়েছেন অনুব্রত। এরপরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করে ২৫০টি পরিবার। পদ্ম শিবিরের তরফ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। এবার ‘হুমকি কাণ্ডে’র পর আরও শতাধিক কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন।
বিজেপির দাবি, মঙ্গলবার বীরভূমের সাঁইথিয়া বিধানসভার কুনুরি সহ নানান গ্রাম থেকে ১৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছে। সিউড়িতে বিজেপির বীরভূম জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে দলে যোগদান করেন তাঁরা। পদ্ম শিবিরের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) দলীয় নেতৃত্বের অভাব ও সংখ্যালঘু তোষণের কারণে এই পরিবারগুলি দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জন বার্লার পর আরও এক হেভিওয়েট! তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ‘এই’ প্রাক্তন বিধায়ক, বিরোধী শিবিরে ধাক্কা
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের পরেই বীরভূমে দলবদলের হিড়িক পড়েছে। এর মধ্যে আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে অনুব্রতর ‘হুমকি কাণ্ড’। এভাবেই চলতে থাকলে শাসকদলের চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
উল্লেখ্য, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত। সম্প্রতি তিনি জেলা সভাপতির পদ হারিয়েছেন। ওই জেলায় এই পদটাই তুলে দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। আস্থা রাখা হয়েছে ৯ সদস্যের কোর কমিটির ওপর। এরপরেই দলবদলের হিড়িক পড়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। এর ফলে একদিকে যেমন পদ্ম শিবিরের সংগঠন মজবুত হচ্ছে, তেমনই তৃণমূলের শক্তিক্ষয় হচ্ছে বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের।