বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট (WB Assembly Elections)। তার আগে নিজেদের সংগঠন আরও মজবুত করতে শুরু করে দিয়েছে প্রায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। এই আবহে বীরভূমে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জেলা সভাপতির পদ হারানোর কয়েকদিনের মধ্যেই দলের অন্দরে দেখা গেল বড়সড় ভাঙন।
তৃণমূল (Trinamool Congress) থেকে বিজেপিতে যোগ দিল শতাধিক পরিবার
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে বীরভূমে জেলা সভাপতির পদ তুলে দিয়েছে তৃণমূল। আস্থা রাখা হয়েছে ৯ সদস্যের কোর কমিটির ওপর। এই কমিটির অংশ হলেও, বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে আর নেই কেষ্ট। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের পর এই নিয়ে তিনবার জোড়াফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল ২৫০টি পরিবার।
পদ্ম শিবিরের দাবি, সোমবার নলহাটি বিধানসভার নানান গ্রাম থেকে ৫৫টি পরিবারের মোট ২৭০ জন ব্যক্তি তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত থেকে তাঁরা দলীয় পতাকা তুলে নেন।
আরও পড়ুনঃ বদলে গেল দেবাশিসের পোস্টিং! ৭৭৮ জনের মধ্যে এই প্রতিবাদী ডাক্তারই কেন? তুঙ্গে বিতর্ক
এদিকে গত রবিবার বীরভূমে কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সভাপতির পদ হারালেও কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত। সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পর মিলেমিশে কাজ করার বার্তাও দিয়েছিলেন শাসকদলের নেতারা। তবে একদিনের মধ্যে দেখা যায় অন্য ছিল।
সোমবার কেষ্টর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হননি কোর কমিটির আরেক সদস্য কাজল শেখ। অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর ‘সমীকরণ’ কমবেশি সকলেই জানেন। কেষ্টর ডাকা বৈঠকে দেখা যায়নি এই তৃণমূল নেতাকে।
অন্যদিকে রবিবার রামপুরহাটের পর সোমবার বোলপুরে তৃণমূলের (Trinamool Congress) মহামিছিল হল। মঙ্গলবার সিউড়িতে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা। তার আগে বীরভূমে বড়সড় ধাক্কা খেল জোড়াফুল শিবির। শয়ে শয়ে কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে। আগামী বছরের নির্বাচনের আগে এটি শাসকদলের চিন্তা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।