বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে একাধিক দুর্নীতি মামলায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে শাসক দলের, আবার অপরদিকে এ সকল ঘটনা দলের সংগঠনেও ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। ফলে সব মিলিয়ে ঘরে ও বাইরে অস্বস্তি বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল ছেড়ে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিতে যোগদান করে চলেছেন একাধিক কর্মী সমর্থকরা। গতকাল স্বাধীনতা দিবসেও সেই একই চিত্র ধরা পড়লো। এবার ভাঙন নদিয়া (Nadia) তৃণমূলে।
গতকাল নদিয়া জেলার নবদ্বীপের মায়াপুর ও মহিশুরা এলাকা থেকে শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা যোগদান করলেন জাতীয় কংগ্রেসে। যোগদান পর্বের নেতৃত্ব দেন মুজিবর শেখ। গতকাল গোটা দেশ জুড়ে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। সেই উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় নবদ্বীপ পুরসভার মায়াপুর এলাকায় জাতীয় কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরেন অসংখ্য মানুষ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে এই যোগদান সাংগঠনিক স্তরে কংগ্রেসের শক্তি বহুগুনে বৃদ্ধি করবে।
যোগদান প্রসঙ্গে এক কংগ্রেস নেতা জানান, “বামনপুকুর পঞ্চায়েতের অসংখ্য তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা আজ কংগ্রেসে যোগদান করলেন। বর্তমানে দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে গোটা বাংলা। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের লক্ষ্য। আজ সকল কর্মী সমর্থকদের যোগদান আমাদের শক্তিশালী করে তুলবে।” গত ফেব্রুয়ারি মাসে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরতে দেখা যায় বহু মানুষকে। সেই সময় ৫০০ জনের উপর কর্মী সমর্থকরা যোগদান করেন কংগ্রেস দলে। সেই তালিকায় ভুষণ রায় ও কৃষ্ণ মাহাতোর মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নামও সামিল হন।
উল্লেখ্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসক এবং বিরোধী, সকল পক্ষই নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মরিয়া। এর মাঝেই একাধিক দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্রমশ কোণঠাসা করতে চাইছে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির মতো বিরোধী দলগুলি। এর মাঝেই নদিয়া জেলায় কংগ্রেসের এই ‘যোগদান মেলা’ বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত, অতীতে নদিয়া জেলাটিকে কংগ্রেসের ‘গড়’ বলে মনে করা হতো। বিগত বেশ কিছু বছরে সাংগাঠনিক দিক থেকে দুর্বল হতে থাকে তারা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে একাধিক কর্মীর যোগদানের মাধ্যমে পুনরায় একবার তাদের ঘর মজবুত হবে বলে দাবি কংগ্রেস দলের।