বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অভিযান শুরু করেছিল গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আর সেই হার ছিল রীতিমতো লজ্জার। যে পিচের ওপর ব্যাট হাতে তাণ্ডব করেছিলেন কনওয়ে, নিশামরা, সেই পিঠেই রীতিমতো লেজেগোবরে অবস্থা হয় ম্যাক্সওয়েল, মার্শদের। তাই আজকের শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি অজিদের কাছে ছিল টুর্নামেন্টে টিকে থাকার পাশাপাশি সমালোচকদের যোগ্য জবাব দেওয়ার।
অস্ট্রেলিয়া প্রথমে টসে জিতে নিজেরা বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। করোনায় আক্রান্ত জাম্পার বদলে আজ অস্ট্রেলিয়া দলে এসেছিলেন অ্যাস্টন অ্যাগার। পাওয়ার প্লে-তে শ্রীলঙ্কা ভদ্রস্থ গতিতে রান তুলেছিল। কিন্তু ১১.৩ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর থেকে একটিও ভালো পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি তারা।
আজ শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন ওপেনার নিশাঙ্কা। কিন্তু ৪০ রান করতে তিনি খরচ করেছেন ৪৫টি বল। ধনঞ্জয়ের ২৬, আশালঙ্কার ৩৮ এবং করুণারত্নের ১৪* রানের ক্যামিওতে ভর করে ১৫৭ রান স্কোরবোর্ডে তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। পেসাররা আজ ভালো বোলিং করলেও শেষ ওভারে কামিন্স ২০ রান দিয়েছেন। হ্যাজেলউড, স্টার্ক, কামিন্স, অ্যাগার, ম্যাক্সওয়েল প্রত্যেকেই আজ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে চূড়ান্ত বেকায়দায় পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পাওয়ার প্লে-তে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেননি তারা। উপরন্তু ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট তুলে নেন মহেশ থিকসেনা। এরপর মিচেল মার্শও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি।
কিন্তু মার্শ ডি সিলভার শিকার হয়ে ফেরার পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ওয়ারিন্দু হাসারাঙ্গার ১ ওভারে ১৯ রান করেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত গলায় বাউন্সার লাগার পর তিনি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন এবং শেষপর্যন্ত করুণারত্নের বলে ৬ মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন। কিন্তু এরপর একার হাতে খেলা ঘোরাতে শুরু করেন মার্কাস স্টোইনিস।
৬,০,৬,১,৬,৬,০,১,৬,৪,৬,১,১,৪,৪,১,২,৪! মাত্র ১৭ বলে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করে শেষপর্যন্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে ১৭ ওভারের মধ্যেই খেলা শেষ করে দেন তিনি। অপরদিকে ৪২ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। নিজের ইনিংস নিয়ে হতাশ হলেও জিততে পেরে খুশি তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম এবং অস্ট্রেলিয়া দলের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম অর্ধশতরান করা স্টোইনিস ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।