বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে জার্মানির খেতাব জয় এখনো অনেক ফুটবলপ্রেমীর মনেই উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলকে শূন্য করে সেমিফাইনাল জেতার পর ফাইনালে আর এক লাতিন আমেরিকান ফুটবল দৈত্য আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। ৯০ মিনিটে খেলার ফয়সালা না, হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়। তখনই পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নেমে গোটা আর্জেন্টিনার মন ভেঙ্গে গোল করে জার্মানিকে তাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন মারিও গোৎজে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই জার্মান ফুটবলার। ২০১৭ তালের পর থেকে আর জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। সম্প্রতি নিজেদের নতুন ক্লাব ইনট্রাক্ট ফ্র্যাঙ্কফুটের হয়ে ভালো ফুটবল খেলার পুরস্কার পেলেন তিনি। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের জন্য জার্মানির স্কোয়াডে তাকে জায়গা দিয়েছেন জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। কিন্তু তারকা ও অভিজ্ঞ জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাটস হুমেল্সকে দলে জায়গা দেননি তিনি। চোটের জন্য তারকা ফরোয়ার্ড টিমো ওয়ার্নারও এই স্কোয়াডের অংশ নন। আসন্ন পাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ অফ ডেথে রয়েছে তারা। পরের পর্বে যাওয়ার জন্য তাদের গ্রুপের লড়াই করতে হবে স্পেন, জাপান এবং কোস্টারিকার সাথে। নিচে বিশ্বকাপের জন্য জার্মানির ২৬ জনের স্কোয়াডটি তুলে ধরা হলো…
গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল ন্যয়ার (বায়ার্ন মিউনিখ), মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেন (বার্সেলোনা), কেভিন ট্র্যাপ (ইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট)
ডিফেন্ডার: থিলো কেহরের (পিএসজি); নিকলাস সুলে (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড); লুকাস ক্লোস্টারম্যান (আরবি লিপজিগ); আন্তোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ); নিকো শ্লোটারবেক (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), আরমেল বেলা কোটচ্যাপ (সাউদাম্পটন এফসি), মাত্তাহিয়াস জিন্টার (এসসি ফ্রাইবার্গ), ডেভিড রাউম (আরবি লেইপজিগ), ক্রিশ্চিয়ান গুন্টার (এসসি ফ্রেইবার্গ)
মিডফিল্ডার: জশুয়া কিমিচ (বায়ার্ন মিউনিখ); জোনাস হফম্যান (বরুশিয়া মনচেংগ্লাডবাখ); জুলিয়ান ব্র্যান্ড (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড); লিওন গোরেট্সকা (বায়ার্ন মিউনিখ); ইকেয় গুন্ডোগান (ম্যানচেস্টার সিটি); জামাল মুসিয়ালা (বায়ার্ন মিউনিখ), নিকলাস ফুলকুর্গ (ওয়েরডার ব্রেমেন), মারিও গোৎজে (ইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট)।
ফরোয়ার্ড: লেরয় সানে (বায়ার্ন মিউনিখ), থমাস মুলার (বায়ার্ন মিউনিখ), সার্জ গ্যানাব্রি (বায়ার্ন মিউনিখ), কাই হাভার্টজ (চেলসি), ইউসুফা মৌকোকো (ডর্টমুন্ড), করিম আদেইমি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)।
এদিকে কাল কাতার বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ২০১৬ সালের ইউরো কাপ জয়ী পর্তুগালও। অফফর্মে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে অধিনায়ক হিসেবে রেখেই পর্তুগালের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ফার্নান্দো স্যান্টোস। চোট থাকা সত্ত্বেও সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবেন এমন আশা করে দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার পেপে-কে। চোটের জন্য লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ড দিয়াগো জোতাকে পাচ্ছে না পর্তুগাল। প্রতিভাবান মিডফিল্ডার রেনাতো স্যাঞ্চেজ ও অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার জোয়াও মৌতিনহোকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছেন ফার্নান্দো স্যান্টোস। খাতায়-কলমে বিচার করলে হয়তো চলতে বিশ্বকাপে সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে যাচ্ছে পর্তুগালই। কিন্তু তাদের সাম্প্রতিক খেলা যারা দেখেছেন তারা খুব ভালই জানেন যে দলের মধ্যে এখনো কোনও বোঝাপড়া তৈরি করতে পারেননি পর্তুগিজ কোচ। তাই সবচেয়ে প্রতিভাশালী দল হয়েও হয়তো চূড়ান্ত হতাশ হয়েই কাতার থেকে ফিরতে হবে পর্তুগিজ স্কোয়াডকে। মহাকারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আর নিজের পরিচিত ছন্দে নেই যে প্রায় একার হাতেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করবেন। তাই পর্তুগালকে নিয়ে খুব বেশি আশা করছেন না কোন ফুটবলপ্রেমীই।
পর্তুগালের ২৬ জনের স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: দিয়োগো কস্তা (পোর্তো), রুই প্যাট্রিসিও (এএস রোমা), হোসে সা (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স)
ডিফেন্ডার: জোয়াও ক্যানসেলো (ম্যানচেস্টার সিটি), দিয়োগো ডালট (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), রুবেন ডায়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), রাফায়েল গুরেইরো (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড), নুনো মেন্ডেস (প্যারিস সেন্ট জার্মেইন), পেপে (পোর্তো), দানিলো পেরেইরা (প্যারিস সেন্ট জার্মেইন), আন্তোনিও সিলভা (বেনফিকা)
মিডফিল্ডার: উইলিয়াম কারভালহো (রিয়াল বেটিস), ব্রুনো ফার্নান্দেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), জোয়াও মারিও (বেনফিকা), রুবেন নেভেস (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স), ম্যাথিউস নুনেস (ওলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স), ওটাভিও (পোর্তো), জোয়াও পালিনহা (ফুলহ্যাম), বার্নার্ডো সিলভা ( ম্যানচেস্টার সিটি), ভিতিনহা (প্যারিস সেন্ট জার্মেইন)
ফরোয়ার্ড: জোয়াও ফেলিক্স (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), রিকার্ডো হোর্তা (এসসি ব্রাগা), রাফায়েল লিয়াও (এসি মিলান), গনজালো রামোস (বেনফিকা), ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), আন্দ্রে সিলভা (আরবি লেইপজিগ)