ফেসবুক (Facebook), ইনস্টাগ্রামের (Instagram) পর সামাজিক মাধ্যম হিসাবে মেটা (Meta) বাজারে আনল নতুন অ্যাপ ‘থ্রেডস’ (Meta Introduce A New Application Threads)। লঞ্চের পরের দিন থেকেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই অ্যাপটি। ইতিমধ্যেই ৯৫ মিলিয়নের বেশি পোস্ট হয়েছে এই অ্যাপে। লঞ্চ হওয়ার একদিনের মধ্যেই ৫০ মিলিয়নেরও বেশি লোক Threads অ্যাপে সাইন-আপ করেছেন। এমনকি প্রায় ১৯০ মিলিয়নেরও বেশিবার লাইক পড়েছে এখানে। নিঃসন্দেহে এটি একটি নতুন রেকর্ড।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মার্ক জুকারবার্গের (Mark Zuckerberg) এই নতুন প্লাটফর্ম সাধারণ মানুষের কাছে এতটাই সাড়া পেয়েছে যে, ইলন মাস্কের (Elon Musk) Twitter-এর ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এমনিও যেদিন থেকে ইলন মাস্ক টুইটার কিনেছেন সেদিন থেকেই নানা ধরণের বদল এনে চলেছেন। আর তাতে বেশ ভালোই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিশ্বের মানুষ। সমালোচিত হয়েছে ইলন মাস্কের নানা ধরণের সিদ্ধান্ত। এমতাবস্থায় এরকম একটা নতুন অ্যাপের বাজার দখল করা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
শুরুতেই এই সাফল্য কীভাবে : প্রথমেই বলি থ্রেডস অ্যাপে ইউজার বাড়ানোর জন্য ইন্সটাগ্রাম ইউজার বেস ব্যবহার করেছে মেটা কর্তৃপক্ষ। কারণ এই নতুন অ্যাপ বানানোর পেছনে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম টিমের হাত। আপনার যদি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে নিমেষেই থ্রেড অ্যাপে সাইন ইন করতে পারবেন। ইনস্টাগ্রামের ইউজার নেম থেকে শুরু করে ফলোয়ার সবকিছুই নিয়ে আসতে পারবেন এতে। নতুন প্রজন্মের কাছে বিষয়টি অনেকটাই সহজ।
থ্রেডস অ্যাপে কী কী সুবিধা রয়েছে ইউজারদের জন্য : এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখানে প্রায় ৫০০ ক্যারেক্টার পর্যন্ত পোস্ট লেখা যাবে। তার সাথে যোগ করতে পারবেন লিঙ্ক, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি। থ্রেড পোস্ট কারা দেখতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকছে যারা ব্যবহার করছেন, তাদের উপর।
ট্যুইটারের সঙ্গে থ্রেডসের পার্থক্য : জানিয়ে দিই ট্যুইটারের মতো হ্যাশট্যাগ, ট্রেন্ডিং পেজ উপলব্ধ নয় থ্রেডস অ্যাপে। ট্যুইটারের ওয়েব ভার্সা থাকলেও থ্রেডসে সেটা নেই। এদিকে টুইটারে একটা পোস্ট লেখার লিমিট ২৫ হাজার ক্যারেক্টার যেটা থ্রেডসের ক্ষেত্রে অনেকটাই কম। এবং কেউ যদি থ্রেডস অ্যাপটি ডিলিট করতে চান সেক্ষেত্রে তাকে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ডিলিট করে দিতে হবে।