বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অরুণ জেটলী স্টেডিয়ামে যারা বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচটি দেখতে গিয়েছেন, তাদের সবার পয়সা উসুল হয়ে গেল। অসহায় শ্রীলঙ্কার বোলারদের কার্যত ধ্বংস করে দিলেন কুইন্টন ডি কক (Quinton de Kock), ভ্যান ডার ডুসেন (Rassie Van Der Dussen), এইডেন মার্করমরা (Aiden Markram)। একাধিক রেকর্ড গড়ে ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সামনে জয়ের জন্য ৪২৯ রানের টার্গেট রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসেই যেন ম্যাচের ফলাফল ঠিক হয়ে গেল।
এদিন প্রথম ইনিংস শেষ হবার পর যাবতীয় নজর নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলেন আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে থাকা এইডেন মার্করম। দিল্লির মাঠে তিনি আগেও খেলেছেন। কিন্তু আজ যে ইনিংসটি তিনি খেললেন তা কেউ কোনওদিনও ভুলতে পারবেন না। ভিত গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন ডি কক-রা। ৫৪ বলে ১৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা সহ ১০৬ রান করে ওই ভিতের ওপর পাহাড়প্রমাণ রানের ইমারত গড়লেন মার্করম। ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও-ব্রায়েনের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপে ৪৯ বলে অর্থাৎ দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি আজ নিজের নামে করে নিলেন তিনি।
তার আগে এদিন বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৯৯ এবং ২০০ তম শতরানটি করেছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। ৮৩ বলে নিজের শতরান সম্পূর্ণ করেছিলেন ডি কক। মেরেছিলেন ১২টি চার এবং তিনটি ছক্কা। ওডিআই বিশ্বকাপ খেলেই তিনি অবসর নেবেন ওডিআই ফরম্যাট থেকে, এটা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন আগেই। এই বিশ্বকাপটিকে তিনি স্মরণীয় করে রাখতে চান তা প্রথম ম্যাচ থেকেই বুঝিয়ে দিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক।
এদিন সবচেয়ে ধীরগতির শতরানটি করেছেন ভ্যান ডার ডুসেন। সেই ইনিংস টি ছিল ১১০ বলে ১৩ টি চার এবং দুটি ছক্কা সহ ১০৮ রানের। এর থেকেই বোঝা যায় ঠিক কতটা বিধ্বংসী ছিলেন তারা। নিজেদের কখনোই সুরক্ষিত অনুভব করেননি শ্রীলঙ্কার বোলাররা। অথচ ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক বাভুমাকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তারা।
২০১৫ সাল অবধি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলগত স্কোরের রেকর্ডটি ছিল ভারতের (৪১১) নামে। বারমুডার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে ওই রেকর্ডটি করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করতে নেমে বিশ্বকাপে সেই রেকর্ডটি ভাঙেন এবং তাদের স্কোর ছিল ৪১৭। কিন্তু এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা সেই রেকর্ড ভেঙে তুলে নেয় ৪২৮ রান।