বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীর থেকে 370 ধারা তুলে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একসময় উত্তাল হয় দেশের রাজ্য রাজনীতি। কেউ এর পক্ষে মন্তব্য করেন তো কেউ আবার সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। তবে আজকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক বিবাহ দম্পতির গল্প যাদের জীবনে এই 370 ধারা লঙ্ঘন শাপে বর হয়ে উঠে আসে। আসুন, দেখে নেওয়া যাক তাদের গল্প।
জানা যায় মহারাষ্ট্রের করদ গ্রামের বাসিন্দা অজিত প্রহ্লাদ পাটিল নামের ব্যক্তি ভারতীয় সেনায় কর্মরত এবং তিনি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে কাশ্মীরে নিয়োজিত ছিলেন। এবং সেখানেই তার সাথে আলাপ হয় কাশ্মীরের যোধা নগর পালমার গ্রামের এক সুন্দরী মহিলা ‘সুমন’-এর। তাদের সাক্ষাৎ হওয়ার এবং সেই সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে সাত পাকে বাঁধা পরার যাত্রা মাঝে 370 ধারা লঙ্ঘনের সিদ্ধান্ত যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে তা বলা বাহুল্য। শুধু তাই নয়, তাদের যাত্রাপথে লকডাউন যে এক বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে তা বলা যায়।
জানা যায়, 2020 সালের মার্চ মাসে সুমনের আত্মীয়দের সঙ্গে সেনাকর্মী অজিত পাটিল কাশ্মীরে ঘুরতে যায় কিন্তু ঠিক ওই সময় করোনাভাইরাস এর কারণে দেশের লকডাউন জারি করা হলে সেখান থেকে ফেরত আসার কোন সুযোগ তারা পায় না। এবং সুমনদেবীর বাড়িতেই তাদের থেকে যেতে হয় এবং সেই থাকার সময়কাল এক, দুদিনের নয় বরং প্রায় তিনমাস দীর্ঘায়িত হয়। এই সময়েই কাশ্মীরের সুন্দরী রমণীর সঙ্গে অজিতের চোখের মিলন ঘটে এবং সেই প্রেম এতই গাঢ় হয়ে ওঠে যে তা বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়।
এই সময় সুমনের পরিবারও অজিতকে চিনে নিতে দেরি করে না এবং তারা কোন আপত্তিও জানায়নি। ফলে ডিসেম্বর মাসে তাদের দুজনের মহাধুমধামে বিয়ে হয়। এখানে বলে রাখতে হয় যে যদি কাশ্মীরে 370 ধারা লঙ্ঘন না হতো তবে অজিতের পক্ষে সুমনকে বিয়ে করা হয়তো সম্ভবপর হয়ে উঠতো না ফলে তাদের বিবাহ যাত্রাতে 370 লঙ্ঘনের ঘটনা যে শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে তা অনস্বীকার্য।
বর্তমানে সে ঝাঁসিতে কর্মরত এবং বিবাহের পর অজিতের মা জানিয়েছেন যে তারা সুমনকে বউ হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং তাদের কাছে সে বউ থেকে ধীরে ধীরে মেয়ের মত হয়ে উঠেছে। বলে রাখা ভালো, কাশ্মীরের রমণী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং বর্তমানে অজিত পাটিল এর সাথে সুখী দাম্পত্য জীবন পালন করে চলেছে।