বাংলাহান্ট ডেস্ক : অন্য ধর্মে বিয়ে (Marriage) করেই অনামিকা হয়েছিলেন উজমা ফাতিমা। মেয়ের এহেন কাজ মোটেই মেনে নিতে পারলেননা তার বাবা। আর তাই পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হলো অনামিকার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের একটি কার্ড। তবে কেবলমাত্র পিন্ডদান নয়, অনামিকার আত্মার শান্তি কামনার জন্য একটি ভোজেরও আয়োজন করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কার্ডের একেবারে ওপরে লেখা ‘শোক সন্দেশ’। সকলকে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে এই কার্ডে। কার্ডের নিচে লিখে দেওয়া হয়েছে ঠিকানা। উল্লেখ্য, অনামিকার পরিবারের তরফে নর্মদার তীরে গৌরি ঘাটে অনুষ্ঠিত হলো এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। হাজির ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গোহালপুর এর মক্কানাগায়ার। ওই এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রিকা প্রসাদ দুবের মেয়ে অনামিকা দুবে। ওই এলাকারই আয়াজ খান নামক এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রেজিস্ট্রি ম্যারেজও করে ফেলেন তারা। এরপরেই ইসলামী ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয় তাদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল বিয়ের কার্ড। আর সেখানেই দেখা যায় অনামিকা হয়ে উঠেছেন উজমা ফাতিমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই বিয়ের কার্ডকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে ওঠে এলাকা। যদিও ওই তরুণীর বাবা অভিযোগ করেছিলেন যে তার মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করতে চাইছেন ওই মুসলিম যুবক।
বিয়ের কার্ড সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই তরুনীর পরিবার এবং হিন্দু সংগঠনগুলির তরফে বহুবার ওই তরুণীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। হিন্দু সংগঠনগুলির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল ‘এটা লাভ জিহাদ, কোনভাবেই এটা বরদাস্ত করা যাবে না’। যদিও এত কিছুর পরে ওই তরুণীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারিনি তার পরিবারের সদস্যরা। তাই অবশেষে একপ্রকার বাধ্য হয়ে মেয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করলেন অনামিকার বাবা – মা।