বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (corona virus) যেন সারা বিশ্বকে তোলপাড় করে দিয়েছে। পাশাপাশি চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন (lockdown)। প্রতিটি পিতাই চায় আড়ম্বরপূর্ণভাবে তার সন্তানদের বিয়ে দিতে। এমন এক বিয়ের ঘটনা ঘটল রাজপুরে(rajpur)। তবে, করোনার ভাইরাসের ছায়ার কারণে কোনও আত্মীয় বাড়িতে আসতে পারছে না। এই কারণেই বিয়ে বাড়িতে তাই বর, তার বাবা, বড় ভাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে বসেছিল। বরের কোনও আত্মীয় বা গ্রামের লোক অংশ নেননি বিয়েতে। লকডাউনে বিয়ে: ব্যান্ড না বাজিয়ে চার হাত এক করল বাবা।
বিকেলে পাত্রী শিবির বাবিলের বাড়ি থেকে রওনা হন। রাজপুর শহরের উমেশ কুমার (umesh kumar) শস্য বিক্রির কাজ করেন। তিনি তাঁর মেয়ে শিবিকে (২১) বিয়ে করেছিলেন শাহজাহানপুরের কালান শহরের রাজ মিস্ত্রি সত্যপালের ছেলে অনিল কুমারের (anil kumar) সঙ্গে।
অনিল ইন্টারমিডিয়েটে পড়াশোনা করেন। লকডাউনের পরে বিভ্রান্তিতে আটকে গিয়ে উমেশ এবং সত্যপাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তারা লকডাউনের সমস্ত নিয়ম মেনে চলবে। রাতে বিয়ে বন্ধ হবে না। সমস্ত আচার- অনুষ্ঠান মেনেই বিয়ে করবেন। বরতে আনতে অনিল, তার বাবা, বড় ভাই অরবিন্দ এবং নেত্রপাল গিয়েছিলেন। শিবির বাবা সামাজিক দূরত্বের পুরো যত্ন নিয়েছিলেন। তারা প্রতিটি ছয় ফুট শেল তৈরি করে। সংবর্ধনার পর প্রাতঃরাশ ও খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। প.ম. রামশঙ্কর বেদ মন্ত্রের দ্বারা দ্বারা বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। অনিল ও শিবির সাত দফায় অনুষ্ঠান করে। তবে, সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রখে বিয়ের অনুষ্ঠান করে। দুপুরের পরে, মেয়েটির বিদায় নেওয়ার সময় পরিবারের চোখ কান্নায় ভরে ওঠে। বাবা উমেশ কুমার বলেন, যে তিনি অসুস্থতা এড়াতে নিয়ম মেনে চললেন। দান করা কিছু পরে পাঠানো হবে। আদর্শ বিবাহটি সবার প্রশংসা করেছিল। স্টেশন সভাপতি জয়ন্তী প্রসাদ গাঙ্গুলি জানান, ইতিমধ্যে উমেশ কুমারকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছিলেন।