আগে কাঁদতে হবে একমাস, তারপর বিয়ে! জানেন, ভারতের এই প্রতিবেশী দেশেই আছে এমন নিয়ম

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের ছোটবেলায় খুবই প্রিয় ছিল। এছাড়াও ছোটবেলায় সাধারণ জ্ঞানের উপর থাকত বিভিন্ন রকমের গেমস। কিন্তু সেই সব সময় পার করে এসে যখন আমরা কর্মজীবনে প্রবেশ করি তখন আর সাধারণ জ্ঞান নিয়ে চর্চা করা হয়ে ওঠেনা। কিন্তু এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের আজও জানতে ভালো লাগে।

বর্তমানে নেট দুনিয়ায় আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন অদ্ভুত জিনিসের খবর পাই। নেট মাধ্যমের দ্বারা এই ধরনের খবর দ্রুত সব জায়গায় পৌঁছে যায়। এই ধরনের খবরগুলো একদিকে যেমন মজার, অপরদিকে আমাদের জ্ঞানও বৃদ্ধি করে। আবার চাকরি জীবনে প্রবেশের সময় সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তরগুলি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চাকরির লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ এ এমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর ধরা হয় যেগুলি আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। যেমন ধরুন, বিবাহ (Marriage) এমন একটি সামাজিক রীতি যার মাধ্যমে দুই জন মানুষ একসাথে নতুন জীবন শুরু করার শপথ নেন। এক একটি দেশে এক এক রকম বিবাহ প্রথার চল রয়েছে।

বিয়ের একটা সময় এমন পর্যায়ে আসে যখন আনন্দ থেকে ধীরে ধীরে আমাদের মন কান্নায় ভেসে যায়। কনে যখন বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে যায় তখন সবাই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। কিন্তু জানেন পৃথিবীর মধ্যে এমন একটি দেশ আছে যেখানে বিয়ের এক মাস আগে থেকে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে কনেকে কাঁদতে হয়?

আসলে এই ব্যাপারটিকে আগামী জীবনের শুভ লক্ষণ বলে ধরা হয়। এই দেশে বিয়ের আগে বর ও কনেকে মুরগি ছিঁড়ে তার কলিজা বের করতে হয়। তারপর ঠিক হয় বিয়ের দিনক্ষণ। এতকিছু শোনার পরে আপনারা নিশ্চয়ই ভীষণ কৌতুহলী হয়ে পড়েছেন দেশটির নাম জানার জন্য ? আজকে সেই দেশের কথাই আলোচনা করা যাক।

img 20230717 140715

আপনারা অবাক হবেন জানলে যে এই রীতি চালু রয়েছে আমাদের প্রতিবেশী চীন দেশে (China)। পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশে জুও টাংও বলা হয় একে। এই প্রদেশে কনেকে বিয়ের আগে এক মাস প্রতিদিন এক ঘন্টা করে চোখের জল ফেলতে হয়। আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই নিয়মের প্রথম ১০ দিন কনের মা ও তারপর তার ঠাকুমাকেও একসাথে কাঁদতে হয়।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর