বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে অনেকের কাছেই লিভ ইন (Live In Relationship) বিষয়টা বেশ সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই বিয়ের আগে লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন। এর ফলে অপরদিকের মানুষটাকে বেশি ভালো করে চেনা যায় বলে মত অনেকের। তবে বিবাহিত হয়ে অন্য কারোর সঙ্গে লিভ ইন করলে তা বেআইনি, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট (High Court)।
লিভ ইন সম্পর্ক (Live In Relationship) নিয়ে বিরাট রায় হাইকোর্টের!
চল্লিশোর্ধ একজন মহিলা (এক নং মামলাকারী) এবং তাঁর পুরুষ সঙ্গী (দুই নং মামলাকারী) আইনি রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা তাঁদের লিভ ইনের (Live In Relationship) বিরোধী। তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এই মামলায় উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানাল, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অন্য পুরুষ অথবা মহিলার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকলে পরিবারের মানহানি হয়। তাই ওই যুগলকে পুলিশি রক্ষাকবচ দেওয়া সম্ভব নয়।
জানা যাচ্ছে, আবেদনকারী মহিলা সন্তানের মা, তিনি ডিভোর্সী। তবে তাঁর পুরুষ সঙ্গীর স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠলে নিজেদের পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় লিভ ইনে থাকতে শুরু করেন। এবার তাঁদের মামলাতেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট (Punjab and Haryana High Court) জানিয়ে দিল বিবাহিত হয়ে অন্য সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর সঙ্গে একত্রবাস করা বেআইনি।
আরও পড়ুনঃ সোমবার থেকে ভাসবে বাংলা! চলতি সপ্তাহে কেমন থাকবে রাজ্যের আবহাওয়া? রইল মেগা আপডেট
এই বিষয়ে বিচারপতি সন্দীপ মুদগিল বলেন, ‘একটি পবিত্র সম্পর্কের আইনি পরিণতি হল বিয়ে। ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিপূর্ণ আমাদের দেশে নৈতিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা এখন অনেকেই পশ্চিমী সংস্কৃতিকে গ্রহণ করছি, যা কিনা ভারতীয় সংস্কৃতির থেকে অনেকটাই আলাদা। বর্তমানে আধুনিক সমাজে অনেকেই লিভ ইন সম্পর্কে বিশ্বাস করেন। তবে একজন বিবাহিত মহিলা এবং পুরুষ অথবা একজন বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা যদি লিভ ইন করেন তাহলে তা ব্যভিচার হিসেবে গণ্য করা হবে। স্বামী, স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর সঙ্গে লিভ ইনে থাকা অবৈধ। ডিভি আইনে এমন সম্পর্কে থাকা মানুষদের কোনও রকম রক্ষাকবচ প্রদান করা হবে না’।
এই বিষয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বক্তব্য, বিবাহিত কোনও পুরুষ অথবা মহিলা যদি নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও লিভ ইন সম্পর্কে (Live In Relationship) থাকেন তাহলে তাতে পরিবারের সম্মান নষ্ট হয়। এভাবে বাবা-মায়ের সম্মানহানি করতে পারেন না। যদি এই ধরণের সম্পর্কের জন্য আইনি রক্ষাকবচ প্রদান করা হয় তাহলে একজন স্ত্রী ও সন্তান যারা এর বিরোধিতা করছেন তাঁদের প্রতি অন্যায় হবে।