বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের মহিলাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অনেকগুলি বিশেষ প্রকল্প চালায়। আজ আমরা আপনাকে সরকারের এমনই একটি প্রকল্পের কথা বলব, যেখানে দেশের দরিদ্র মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের অধীনে, সরকার মহিলাদের মোট ৩৪০০ টাকার আর্থিক সহায়তা করে। এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন:
দেশের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা নারীদের জন্য সরকার নানাভাবে আর্থিক সহায়তা করে থাকে। বর্তমানে যে প্রকল্পের কথা আলোচনা করা হচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার গর্ভবতী মহিলাদের এই সহায়তা প্রদান করে। প্রকল্পটির নাম জননী সুরক্ষা যোজনা। দেশের গর্ভবতী মহিলা এবং নবজাতকদের অবস্থার উন্নতির জন্য সরকার এই প্রকল্পটি চালাচ্ছে।
এই যোজনার অধীনে সরকার গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী গর্ভবতী এবং দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মহিলাদের ১৪০০ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও, প্রসবের আগে এবং পরে পরিষেবা প্রদানের জন্য আশা সহায়ককে দু’বার ৩০০ টাকা করে মোট ৬০০ টাকা দেওয়া হয়।
এছাড়াও, শহুরে এলাকায় গর্ভবতী মহিলারা এই প্রকল্পের অধীনে, প্রসবকালে ১০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা পান। পাশাপাশি, প্রসবের আগে এবং পরে পরিষেবা প্রদানের জন্য আশা সহায়ককে দু’বার করে মোট ৪০০ টাকা দেওয়া হয়।
সরকার নির্ধারিত এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়। সেগুলি হল: আবেদনকারীর আধার কার্ড, বিপিএল রেশন কার্ড, আবেদনকারীর ঠিকানা, জননী সুরক্ষা কার্ড, সরকারি হাসপাতাল কর্তৃক প্রসবের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুক, মোবাইল নম্বর এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
খুব সহজেই আপনি এই প্রকল্পের সুবিধা উপলব্ধ করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে https://pmmodiyojana.in/wp-content/uploads/2020/03/jsy_guidelines_2006.pdf এই লিঙ্কের মাধ্যমে অনলাইনে ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে। তারপর এই ফর্মে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। এরপরে, সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি একসাথে সংযুক্ত করে অঙ্গনওয়াড়ি বা মহিলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের অধীনে, দেশের গ্রামীণ এবং শহর উভয় এলাকার গর্ভবতী মহিলারা আবেদন করতে পারেন। তবে, ১৯ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। ১৯ বছরের নীচে কোনো গর্ভবতী মহিলা এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। পাশাপাশি, শুধুমাত্র দু’টি সন্তানের জন্মের সময় এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। সর্বোপরি, এই প্রকল্পের আওতায় শুধুমাত্র দেশের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মহিলারাই সুবিধা পাবেন।