বাংলা হান্ট ডেস্ক: কে বলে বয়সের পার্থক্য সম্পর্ককে বোঝা করে তোলে? কে বলে এতে নাকি দু’জনের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে তুমুল ফারাক এসে যায়! কিন্তু শিখর ধাওয়ানের ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য নয়। এই ক্রিকেটারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের বয়সের ব্যবধান ১০ বছরের।কিন্তু তাতে এঁদের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়েনি! যদিও জীবনসঙ্গিনী নির্বাচন নিয়ে শিখরকে নিজের পরিবারে যথেষ্ট বাধার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু আয়েশাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে শিখরের পাশে ছিলেন তার মা।
তার স্ত্রী আয়েশা ছিলেন হরভজন সিংয়ের বন্ধু। ফেসবুকে জমজমাট বন্ধুত্ব ছিল তাদের। আয়েশার রূপে মুগ্ধ হয়ে ধাওয়ান হরভজনকে অনুরোধ করেন, তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে। আয়েশা নিজে একজন প্রশিক্ষিত কিক বক্সার। খেলাপাগল আয়েশার সঙ্গে শিখরের বন্ধুত্ব জমে উঠতে দেরি হয়নি। ভারতে জন্মগ্রহণ করা আয়েশার বাবা বাঙালি। মা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত। তবে শৈশবেই তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই বড় হয়েছেন। বাংলা এবং ইংরেজিতে সমান স্বচ্ছন্দ আয়েশা ভালবাসেন রান্না করতে। ইন্টারনেটে চ্যাট করতে করতেই শিখর-আয়েশা বন্ধুত্ব রূপ নেয় প্রেমে।
২০০৯ সালে তাদের এগনগেজমেন্ট হয়। তখনও জাতীয় দলে জায়গা পাননি শিখর। পরের বছর জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়। তারও তিন বছর পরে ২০১২ সালে বয়সে ১০ বছরের বড় আয়েশাকে বিয়ে করেন শিখর। বিয়ে করার সময় আয়েশার শর্ত ছিল, তার মেয়েদের সঙ্গে শিখরের সম্পর্ক যেন মসৃণ হয়। আলিয়া এবং রিয়ার সঙ্গে সহজ সম্পর্কের পরেই শিখরকে বিয়ে করেছিলেন আয়েশা।২০১৪ সালে জন্ম হয় শিখর-আয়েশার ছেলে জোরাবরের। দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে শিখর-আয়েশার এখন ভরপুর সংসার।