‘৫০-১০০ বছরের মধ্যে কায়েম হবে ইসলামিক শাসন! রাম মন্দির ভেঙে হবে মসজিদ”, বিতর্কিত বয়ান মৌলানার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ নিয়ে মুসলিম সমাজের ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। ভারতে গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, সঙ্গে দেশের আইন শৃঙ্খলার দূরাবস্থার দোহাই দিয়ে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন লাইভ টিভি চ্যানেলে নিজেদের পুষে রাখা ক্ষোভকে উগড়ে দিতে দেখা যায় মুসলমান সমাজের বিভিন্ন নেতাকে। তাঁদের কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, তাঁরা কোনও ভাবেই রাম মন্দিরকে মেনে নিতে রাজি নয়, সেটা যতই শীর্ষ আদালতের নির্দেশ হোক না কেন। এবার এক মওলানা সর্বসমক্ষে বলেই ফেললেন, একদিন আসবে যেদিন রাম মন্দির ভেঙে তৈরি হবে মসজিদ।

সারা ভারত ইমাম সংগঠনের প্রধান মওলানা সাজিদ রশিদি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন দেশের আইন ব্যবস্থাকেই। তাঁর দাবি, ‘ভারতে ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে আবারও মুসলিম শাসন কায়েম হবে। আর তখনই রাম মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা সম্ভব হবে। মুসলমান সমাজ রাম মন্দির নিয়ে চুপ থাকবে না।’ রশিদির এই মন্তব্য ভারতের বিচার ব্যবস্থাকেই সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে মহামান্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই। তাই সেই মন্দির ভেঙে আবার মসজিদ তৈরির কথা বলা মানে শীর্ষ আদালতকেই অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

babri

মওলানা সাজিদ রশিদি এদিন বলেন, ‘আজ মুসলমান সমাজ চুপ আছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম চুপ থাকবে না। ৫০ থেকে ১০০ বছর পর ইতিহাস তাদের সামনে আসবে। তারা জানবে তাদের মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরি করা হয়েছে। হতে পারে সেই সময় কোনও মুসলিম শাসক থাকবে, বা কোনও মুসলিম বিচারপতি অথবা কোনও মুসলিম শাসনও চলতে পারে ভারতে। তাহলে তখন কি এই ইতিহাসের উপর নির্ভর করে মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হবে না? অবশ্যই হবে।

মওলানা এদিন আরও বলেন, ‘ইতিহাসে লেখা থাকবে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে সেখানে মন্দিরের শিলান্যাস করে আসেন। যা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী।’ রশিদির এই মন্তব্যের পর বিতর্কের ঝড় ওঠে। অবশ্য বিভিন্ন মহল থেকে এই মন্তব্যকে মওলানার ব্যক্তিগত অভিমত বলে বিষয়টিকে হালকা করা চেষ্টা অবশ্যই হয়। তবে মুসলিম বুদ্ধিজীবী সমাজের কাউকেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে দেখা যায়নি।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর