বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সারা দেশ জুড়ে রীতিমতো আতঙ্ক বাড়াচ্ছে কোভিড। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সুনামিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ১২৩ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের। বেশকিছু রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আমাদের রাজ্যে জল এখনো বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়েই। গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১৩৬ জনের। বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, কোভিড থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হল ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলে প্রায় ৮০ শতাংশ কমানো যেতে পারে ভাইরাসের চরম প্রভাব।
কিন্তু এই ভ্যাকসিন নিয়ে এই কদিন আগে নতুন গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় দফার ডোজ নেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬ সপ্তাহ। অর্থাৎ প্রথম ডোজ নেওয়ার ১৬ সপ্তাহ পরেই আপনাকে নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। বিধিনিষেধ নেই অবশ্য কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে। এদিনেই নতুন গাইডলাইন জানার পরেই এসএসকেএমে শুরু হয় বিক্ষোভ। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকা নিতে আসা অনেক মানুষই জানতেন না কেন্দ্রের এই নতুন নিয়ম। হাসপাতালে এসে তারা দেখতে পান ৪৮ দিনের বদলে এবার টিকা দেওয়া হবে ৮৪ দিন পর। বেশ কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও টিকা না পাওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে পুলিশের সাহায্য নিতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুসারে গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই। কিন্তু টিকা নিতে আসা মানুষজনের অভিযোগ হাসপাতালের এক কোণে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়েই কাজ সেরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগে থেকে সেভাবে কিছুই জানানো হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে জনগণকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে বললে বিক্ষোভ তুলে নেন তারা। একদিকে যখন রীতিমত আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা, তখন শুধুমাত্র ভুল তথ্যের কারণে ভিড় জমিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রইলেন বেশ কিছু মানুষ। কেন হাসপাতাল তরফে আরো বেশি করে বিষয়টির বিজ্ঞাপন করা হলো না, উঠছে প্রশ্ন।