বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য চলছে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) দাবি নিয়ে কর্ম বিরতি। পথে নেমে আন্দোলন দেখাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সরকারি কর্মচারীরা প্রতিবাদ মঞ্চে বসে রয়েছেন ধর্মতলায় শহীদ মিনারের নিচে। এরই মধ্যে গণপদত্যাগ করলেন তৃণমূলের শিক্ষা সেল থেকে অসংখ্য শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়িতে। কিন্তু তৃণমূল দাবি করেছে যে সেল থেকে গণপদত্যাগ করা হয়েছে সেই সেলটির নাকি কোন অস্তিত্ব নেই!
সূত্রের খবর, তৃণমূল শিক্ষাসেল থেকে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বানারহাট এর চন্দ্রকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষকের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ১৮ জন। পদত্যাগ দেওয়া শিক্ষকদের দাবি, মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা। কিন্তু সেই কথা শুনছে না কেউ। এর আগেও বহুবার ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তাই শিক্ষকরা ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সোমবার ওই স্কুলের শিক্ষা সেলের সভাপতি হাবিবুল ইসলামের হাতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা তুলে দেন পদত্যাগ পত্র। এই প্রসঙ্গে ওই স্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন,”রাজ্যজুড়ে নিয়োগ দুর্নীতির সুবিচার ও মহার্ঘ্ ভাতার দাবিতে আমরা ইস্তফা দিলাম শিক্ষাসেল থেকে।” এক শিক্ষা কর্মী জানিয়েছেন, “আমরা মহার্ঘ ভাতার জন্য বঞ্চনার শিকার হয়েছি।”
ওই স্কুলে কর্মবিরতি ছিল গত সোমবারও। ফলে পড়ুয়ারা এলেও ওই স্কুলে ক্লাস হয়নি। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সজল কান্তি সরকার বলেছেন,”সরকারি নির্দেশিকা এসেছে কর্মবিরতি বিষয়। কেউ সরকারি নির্দেশিকা লংঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করবে। আমার দায়িত্ব প্রধান শিক্ষক হিসাবে সরকারি নির্দেশ পালন করা।”
অন্যদিকে, এই জেলার শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক অঞ্জন দাস দাবি করেছেন, “শিক্ষকরা যে সেল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তা বেশ কয়েক বছর আগেই উঠে গিয়েছে। হাই স্কুলের শিক্ষকদের যে সেল আছে সেটি হল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। অর্থাৎ যে সকল শিক্ষকরা নিজেদের তৃণমূল শিক্ষক সেলের সদস্য বলে দাবি করছিলেন তারা নিজেরাই জানেন না কোন সংগঠন করেন।”