বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতির (Corruption) প্রতিযোগিতায় বর্তমানে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিকে রীতিমতো জোর টেক্কা দিচ্ছে আবাস দুর্নীতি (Awas Corruption)। দিন দিন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে দুর্নীতির পরিমান। গত এক মাস থেকে বাংলার মাটিতে প্রকাশ্যে এসেছে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। ন্যায্য প্রাপকেরা নিজেদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে নেমেছে পথে, কেউবা সামিল হয়েছে বিক্ষোভে, কেউবা আবার ক্ষোভে বয়কট করেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ। এরই মধ্যে এবার স্থানীয় মানুষের জনরোষের ভয়ে গণইস্তাফা দিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর ২ ব্লকের মালিহাটি কান্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) ১৭ সদস্য। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে গেছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের আবাস যোজনায় (Central Awas Yojana) নাম ওঠেনি কান্দি মহকুমার ভরতপুর-২ ব্লকের মালিহাটি কান্দ্রা পঞ্চায়েত এলাকার বহু উপভোক্তার। লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগে ধুন্ধুমার অবস্থা এলাকার। নিজেদের ন্যায্য না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন গ্রামবাসী। যার জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গ্রামের পঞ্চায়েত সহস্যগণ। এর জেরেই এবার মালিহাটি কান্দ্রা পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ ১৭ সদস্য জনরোষের আশঙ্কায় কাঁদতে কাঁদতে গণপদত্যাগ প্রদান করলেন স্থানীয় বিডিও অফিসে। জানা গিয়েছে একজোটে পদত্যাগপত্র জমা পড়লেও তা এখনও পর্যন্ত গৃহীত হয়নি।
এই বিষয়ে আতঙ্কিত পঞ্চায়েত প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন জানান , “২০১৮ সালে যে সরকারি সার্ভে হয় তার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে এবার। তাতে বহু দুঃস্থ, ঘর না থাকা অর্থাৎ উপযুক্ত উপভোক্তাদের নাম নেই। তালিকায় দুর্নীতি হয়েছে। আবার এমন অনেকের নাম তালিকায় রয়েছে যাদের পাকাবাড়ি রয়েছে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার খাতিরে এদিন আমরা গণইস্তফা দিলাম।” আতঙ্কিত গলায় তিনি আরও জানান, “চারিদিকে যা হচ্ছে তাতে আমাদের পরিবার ও আমাদের উপর আক্রমণ হতে পারে। আমাদের হেনস্তা করা হতে পারে।” যদিও বিরোধীদের দাবি , পিঠ বাঁচাতেই এই পদত্যাগের সিধান্ত গ্রহণ করেছেন তাঁরা।