বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক (Meeting) চলছিল। সেই সময়ই পরিস্থিতির অবনতি হয়। মারামারি থেকে কামড়াকামড়ির ঘটনা ঘটে। রক্তারক্তি কাণ্ড হয় সিপিএমের (CPIM) পার্টি অফিসে (Party Office)! জানা যাচ্ছে, কথা কাটাকাটি থেকে সূত্রপাত হয়েছিল, সেটা গড়ায় হাতাহাতি অবধি। কারোর হাতে সেলাই পড়েছে, কারোর আবার কপালে ব্যান্ডেজ!
মাঝপথেই ভেস্তে যায় কমিটির বৈঠক (CPIM)!
ঘটনাটি ঘটেছে কসবার ৯১ নং ওয়ার্ডের সিপিএমের এরিয়া কমিটির দফতরে। এর আগেও সংশ্লিষ্ট এরিয়া কমিটির বৈঠকে পরিস্থিতি তেতে উঠেছিল। শনিবারও দেখা গেল একই ছবি। সূত্রের খবর, গতকাল দলের এক নেতার হাতে কামড় পড়েছে। কয়েক মাস আগে তিনিই বৈঠকের সময় অশান্তির মাঝে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রায় ২০ দিন ধরে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছিলেন।
জানা যাচ্ছে, সিপিএমের উচ্চতর কমিটির বহু নেতা নেত্রী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ, কেউ আবার লজ্জিত। তবে অনেকে মোটেই বিস্মিত নন। এক বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বলেন, ‘এটা তো নতুন কিছু নয়। এই শতাব্দীর শুরুতে আমাদের হুগলি জেলা সম্মেলন এই বিষয়ে মাইলফলক হয়ে আছে। জঙ্গিপাড়ায় সেই জেলা সম্মেলনে এমন গণ্ডগোল হয়, যাতে সম্মেলন মঞ্চেই বর্ষীয়ান নেতা নির্মল মুখোপাধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সম্মেলন শেষ হওয়ার দিন কয়েকের মাথায় তিনি প্রয়াত হন’।
আরও পড়ুনঃ দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে যাব, তবে…! ‘শর্ত’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু
এখানেই না থেমে ওই নেতা রসিকতার সুরে বলেন, ‘সঠিক পথে আছি। সরকারে যখন ছিলাম, তখন দলাদলি করতাম। এখন পার্টি বিলুপ্ত হওয়ার পথে, সেই সময়ও এই কাজ করছি। অর্থাৎ আমরা আমাদের পথেই চলছি’। অন্যদিকে এই বিষয়ে উত্তর কলকাতার একজন সিপিএম নেতা এই ঘটনায় নিজের দলকেই কটাক্ষ করেছেন।
জানা যাচ্ছে, গতকাল দলের বৈঠকে যখন এই অশান্তি হচ্ছে, সেই সময় সেখান থেকে সিপিএম নেতৃত্বের একাংশ দলের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সম্পূর্ণ ঘটনা কী ঘটেছে সেটা বিশদে লিখিতভাবে জেলা কমিটিকে জানাতে বলেছেন তিনি।
গতকালের পার্টি অফিসের (CPIM Party Office) ওই বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা ৬৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর দীপু দাস। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে সিপিএমের (CPIM) অন্দরে অশান্তির ছবি! দলীয় কার্যালয়েই ধুন্ধুমার। এর ফলে তাদের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।