বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের ( Bangladesh ) কক্সবাজারের উখিরায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ( Rohingya Camp ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ( Massive fire )। সোমবার বিকেলেই হঠাৎই আগুন লাগে ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের একটি বাড়িতে। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুনের গ্রাসে চলে আসে গোটা শিবির। জানা যাচ্ছে, ৫০ হাজারেরও বেশি শরণার্থী শিবির পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফে বিস্তারিত হতাহতের সংখ্যা না জানানো হলেও, খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সমুদ্র তীরবর্তী ওই ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী,পুলিশ, এমনকি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে। রাতেই আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও , জানা যাচ্ছে বিক্ষিপ্ত ভাবে ওই শিবিরের একাধিক জায়গায় মাঝে মাঝে আগুন জ্বলে উঠছে।
ময়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে ওই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। অনেকে সঙ্গে কোনও সহায় সম্বলও নিয়ে আসতে সক্ষম হয়নি বলে জানা গিয়েছিল। সেখানে এদিনের অগ্নিকাণ্ড তাদের শেষ সম্বল টুকুও ছিনিয়ে নিল। বাংলাদের কক্সবাজারের ওই ক্যাম্পে প্রায় ৩৪ টি শরণার্থী শিবির রয়েছে। তার মধ্যে ৮ নম্বর ক্যাম্পেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমেই এই অগ্নিকাণ্ড।
তবে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে কমিটিকে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের অন্য ক্যাম্পে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা যাচ্ছে, এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ‘আত্মঘাতী’। কারণ ওই শিবিরে একদল রোহিঙ্গা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে দেশে ফিরে যাওয়া বিলম্বিত করার জন্যই এসব সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা একের পর এক এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ।