বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে বিশ্ববাসী এখন আতঙ্কিত। সকলেই চাইছে এই বিপদ থেকে উদ্ধার হতে। সব দেশই নিজেদের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। কিন্তু অপরদিকে পাকিস্তান (Pakistan) এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার বিষয়ে সঠিক কোন পদক্ষেপ এখনও গ্রহণ করেনি। সমগ্র বিশ্বই এখন পাকিস্তানের এই দুর্বল দিকটির বিষয়ে জেনে গেছে। এছাড়াও পাকিস্তান সংকটের সময় তার নাগরিকদের চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনতে নারাজ ছিল।
আবারও পাকিস্তানের সেই ঘৃণ্য দিকটা বিশ্বের সামনে চলে আসল। UAE তে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসের উপর পাক নাগরিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। এইসকল নাগরিক বাড়ি ফেরার জন্য বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। নাগরিকদের দাবী, পাকিস্তানের বিভিন্ন নাগরিকরা ১৫ দিন থেকে ১ মাস ধরে সেখানে আটকে রয়েছে। কিন্তু তাঁদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনতে চাইছে না পাক সরকার। তাঁদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য কোন ব্যবস্থাই করছে না পাক সরকার এবং UAE সরকার।
একদিকে মানুষজন তাঁদের আপনজনদের ফিরিয়ে আনার জন্য পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে ঝামেলা করছে, আর অন্যদিকে UAE -এর পাক নাগরিকদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। তাঁদের কাছে খবর আসে, প্রায় ১০ হাজার পাক নাগরিকের চাকরি চলে গেছে এই মহামারির কারণে। যেসকল পাক নাগরিক পাকিস্তানী দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল, তাঁদের দাবী ছিল- তাঁদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে দিতে হবে। দূতাবাসের কাছে তাঁদের একটাই দাবী, যতদ্রুত সম্ভব তাঁদের পাকিস্তানে পাঠাতে হবে।
কিন্তু দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, এই বিষয়ে সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবং সরকারের তরফ থেকে সম্মতি পেলেই, তবে বিমান মারফত তাঁদের পাকিস্তান পাঠানো হবে। অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের এতদিন পরেও পাক সরকার শুধু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেই চলেছে, কিন্তু তার কার্যকরী রূপ এখনও প্রকাশ পায়নি। পাক সরকারের বক্তব্য হল, পাকিস্তানে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর এই অবস্থায় যদি বাইরে থেকে নাগরিকরা পাকিস্তানে ফিরে আসে, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। যা সামাল দেওয়া পাকিস্তানের পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাবে।