বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ভিডিও ভাইরাল ভাইরাল হয়েছিল নিমেষের মধ্যে। তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করার চেষ্টা সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল স্কুটি থেকে নেমে এসেই এক যুবক পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে সুশান্তের দিকেই বন্দুক তাক করেছে।
তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলের সুশান্ত ঘোষ ‘গুন্ডা’ বিস্ফোরক আফরোজ
কিন্তু কোনো করণে তার বন্দুক কাজ করেনি। অন্যদিকে প্রথমে ঘটনার আকস্মিকতায় হকচক দিয়ে গেলেও দ্রুত সুশান্ত এবং তার সহযোগীরা পিছু ধাওয়া করেই ধরে ফেলে ওই বন্দুকধারী যুবককে। কিন্তু স্কুটি নিয়ে পালিয়ে যায় অপরজন। ইতিমধ্যে শনিবার বিহার পালানোর সময় গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্ত আফরোজ খান।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের আনুমান তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষ-এর ওপর হামলায় মাস্টারমাইন্ড এই আফরোজ। বিহারে পালিয়ে যাওয়ার আগেই পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে। থানা থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক দাবি করে অভিযুক্ত আফরোজ।
হিন্দিতেই আফরোজ বলে ওঠে, ‘সুশান্ত ঘোষ গুন্ডা’। সেইসাথে তিনি জানান, আমার ২০০০ স্কয়ার ফিটের ওপর জায়গা দখল করে রেখেছে তাই মেরেছি’। যদিও এই জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে সুশান্ত ঘোষ সাফ জানিয়েছেন জমি জায়গা সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে আমি থাকি না। আর অভিযুক্তকে আমি চিনিও না।
তদন্তকারীদের অনুমান আদতে কসবার বাসিন্দা আফরোজই সুশান্ত ঘোষকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। জানা যায় এই ঘটনায় প্রথম যে ব্যক্তিকে ধরা হয়েছিল তার নাম যুবরাজ সিং। আদতে বিরহের বাসিন্দায় যুবক জানায় সে নাকি মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই খুনের সুপারি নিয়েছিল। তাকে বরাত দিয়েছিল আফরোজ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আবাসের পর রেশন! ১২,৭১৪ কোটি টাকা বকেয়া, এবার বড় পদক্ষেপ রাজ্যের
সুশান্ত ঘোষ কে খুনের চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর সম্ভবত নিজের বাড়ি বিহারাই পালানোর চেষ্টা করছিল আফরোজ। সিসিটিভি ফুটেজ আর গাড়ির নাম্বার প্লেট দেখেই শনিবার পূর্ব বর্ধমানের জাতীয় সড়ক থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, এই আফরোজের রুবি হাসপাতাল সংলগ্ন আনন্দপুরের গুলশান কলোনিতে বেশ কিছু জমি জায়গা রয়েছে।
সেই জমি নিয়েই নাকি স্থানীয় এক প্রোমোটারের সঙ্গে তার বিবাদ চলছিল। এই প্রোমোটার নাকি কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামী। আর সেই বিবাদের কারণেই নাকি তার সুশান্ত ঘোষের প্রতি এত ক্ষোভ। যদিও সমস্ত অভিযোগ তাই অস্বীকার করে সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন তিনি নাকি আনন্দপুরে খুব একটা যান না সেখানকার রাজনৈতিক পরিবেশ সম্পর্কেও তাঁর জানা নেই।