বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ মে সম্পন্ন হয়েছিল নিট। ডাক্তারির স্নাতক স্তরে ভর্তির সর্বভারতীয় এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে এবার সামনে এলো এক নতুন তথ্য। কিছুদিন আগেই এই পরীক্ষার অনিয়ম এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। হবু ডাক্তারদের যোগ্যতা নির্ণায়ক এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ইতিমধ্যেই মূল চক্রী অমিত আনন্দ-সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি পুলিশের জেরার মুখে পড়ে এই বিষয়ে মুখ খুলে ছিলেন নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল কান্ডারী বিহারের বাসিন্দা অমিত আনন্দ। এপ্রসঙ্গে এবিপি নিউজ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে পুলিশি জিজ্ঞাসা বাদের মুখে অমিত জানিয়েছেন ৩০ থেকে ৩২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নাকি তিনি পড়ুয়াদের হাতে ওই প্রশ্নপত্র তুলে দিয়েছিলেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার প্রসঙ্গে অমিত জানিয়েছেন, তিনি নাকি পরীক্ষার আগের দিনই প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র হাতে নেওয়া পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সময় পেয়েছিলেন ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল কে এই অমিত? কীভাবে প্রভাব খাটিয়ে এত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগেভাগেই হাতে পেয়ে গেলেন তিনি?
প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা অমিত বেআইনি ভাবে একটি কোচিং তথা পরামর্শদাতা সংস্থা চালাতেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পটনার এজি কলোনিতে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ইতিমধ্যেই এই অমিতের বিরুদ্ধে পটনার শাস্ত্রীনগর থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের হার থেকে শিক্ষা, ‘অন্নদাতা’দের জন্য এবার বিরাট ‘সারপ্রাইজ গিফট’ মোদীর
বিহারের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা তদন্তে নামতেই নিট-এর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে অমিত-সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দানাপুর পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকন্দরকুমার যাদবেন্দু। সে পুলিশকে জানিয়েছে, সাহায্য চেয়ে তার সঙ্গে বেশ কয়েক জন নিট পরীক্ষার্থী যোগাযোগ করেছিলেন।
দরাদরি করে তারাই প্রশ্নপত্র বিক্রির দাম ঠিক করেছিল। এরপর সিকন্দর যোগাযোগ করেন অমিতের সঙ্গে। জানা গেছে, পরীক্ষার আগের দিন ওই পরীক্ষার্থীদের পটনার রামকৃষ্ণনগর এলাকায় নিরাপদে রাখা হয়েছিল।অমিতের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে পুলিশ বেশ কিছু পোড়া প্রশ্নপত্র পেয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।