বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের বাগপতে সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের জন্য বিনয়পুর গ্রামের একটি মসজিদে বিজেপি নেতাকে হনুমান চালিশা আর গায়ত্রী মন্ত্রী পাঠ করার অনুমতি দেওয়া মৌলানাকে নিষ্কাশিত করল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। মসজিদ থেকে নিষ্কাশিত হওয়ার পর মৌলানা আলী হাসান নিজের সরঞ্জাম গুটিয়ে গাজিয়াবাদের লোনী চলে গিয়েছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের মুরুব্বীরা বৈঠক করে ওই মৌলানাকে বহিষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনার পর হিন্দু সমাজের মানুষেরা ওই মৌলানার সমর্থনে পঞ্চায়েত ডাকার প্রস্তুতি নিয়েছে।
খেকড়া এলাকার বিনয়পুর গ্রামে বিজেপির নেতা মনুপাল বনসল মঙ্গলবার মসজিদে গিয়ে মৌলানা আলী হাসানের অনুমতি নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার খাতিরে মসজিদের ভিতরে হনুমান চালিশা এবং গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করেন। এই কাজের জন্য বিজেপির নেতা মনুপাল বনসল মৌলানার কাছ থেকে অনুমতিও নিয়েছিলেন।
হনুমান চালিশা পাঠের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ করা হয়। সেখানে গায়ত্রী মন্ত্রও পড়া হয়েছিল। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান প্রতিক্রিয়া এসেছে। বুধবার মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিরোধিতা করা হয়। যদিও মৌলানা বলেছিলেন যে, সবই ভগবানের সৃষ্টি তাই সব জায়গায়ই ভগবানকে স্মরণ করা যায়, এতে ভুলের কিছুই নেই।
মুসলিম সম্প্রদায়ের মুরুব্বীদের হওয়া গোপন বৈঠকের পর মৌলানা আলী হাসানকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। মৌলানা নিজের বিছানা পত্তর গুটিয়ে গাজিয়াবাদেরর লোনীতে চলে যান। আরেকদিকে, মনুপাল বনসল জানিয়েছেন যে, মৌলানা সম্প্রীতির উদাহরণ দিয়েছিলেন বলেই, ওনার সাথে এমন ব্যবহার করা হয়েছে।