বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তাবলীগ মরকজ (Tablighi Markaz) এর হওয়া অনুষ্ঠানের আগে মৌলানা সাদ (Maulana Saad) এর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে আসা টাকার ট্রানজাকশন আচমকাই বেড়ে যায়। এই বিষয়ে তদন্ত করার ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ (Crime Branch) তথ্য সামনে আনে। ওই অ্যাকাউন্ট দিল্লীরই একটি ব্যাংকের। আর বিদেশ থেকে টাকা বেশি আসার পর ব্যাংক মৌলানা সাদের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ডেকে জিজ্ঞাসাও করছিল যে, বিদেশ থেকে আচমকাই এত টাকা আসছে কেন? এর সাথে সাথে ব্যাংক মৌলানা সাদের সাথে দেখাও করতে চায়। কিন্তু মৌলানার সিএ জানায়, সাদ নামীদামী মানুষ, তাই সাক্ষাৎ করা সম্ভব না। ৩১ মার্চ ব্যাংক ওই ট্রানজাকশন বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল সাদের সিএকে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ এখন মরকজের ফান্ডিং এর সাথে হাওয়ালার কানেকশনও জুড়ে দেখছে।
তাবলীগ জামাতের প্রধান মৌলানা সাদ করোনা পজেটিভ না। সুত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর সাথে সাথে এটাও খবর আসছে যে, মৌলানা সাদ দিল্লীর জাকির নগর এলাকাতেই আছে। ব্যাক্তিগত ডাক্তারের টিমের সাথে সে নিজের চিকিৎসা করাচ্ছে। আরেকদিকে, উত্তর প্রদেশে থাকা মৌলানা সাদের দুজন আত্মীয়র করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এই দুই আত্মীয়ও মরকজে অংশ নিয়েছিল।
সুত্র অনুযায়ী, দিল্লীর তাবলীগ মরকজের সাথে যুক্ত জামাতিদের খুঁজে বের করা এখন সহজ হয়ে যাবে। জামাতিদের তথ্য এখন তাঁদের বাড়ি আর মসজিদে সহজেই পাওয়া যাবে। দিল্লী সরকারের ১৩ হাজার টিম এখন দিল্লীর প্রতিটি মহল্লা আর কলোনিতে করোনা সংক্রমিতদের খোঁজার জন্য বেরিয়েছে।
দিল্লী সরকার ওই টিমকে করোনা ফুট ওয়ারিয়র্স অ্যান্ড সার্ভিল্যান্স নাম দিয়েছে। পাঁচ জন করে একটি টিম হবে। বেশীরভাগ স্থানীয় সদস্যই থাকবে ওই টিমে। এমনকি দিল্লী পুলিশের জওয়ানদেরও ওই টিমে যুক্ত করা হবে। এই টিইম বাড়ি বাড়ি যাবে। স্থানীয় হওয়ার কারণে মানুষের কাছ থেকে সহজেই তথ্য জোটাতে পারবে। সিভিল ডিফেন্স এর ভলেন্টিয়ার, আশা কর্মী আর অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের এই টিমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।