বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সারা ভারতেই (India) হু হু করে বাড়বে কর্কট রোগের (Cancer) প্রভাব। ইতিমধ্যেই একজন বিখ্যাত অনকোলজিস্টের (Oncologist) তরফে সতর্ক করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে বিশ্বায়ন (Globalization), ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি (Growing economy), জনসংখ্যা বৃদ্ধি (Population) এবং পরিবর্তিত জীবনধারার (Lifestyle change) কারণেই ভারতে এই রোগ ব্যাপক আকারে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করবে। এই মারণ রোগের দাপট থেকে মুক্ত হতে তিনি প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা কৌশল ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের হেমাটোলজি এবং মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডাঃ জেম আব্রাহাম বলেছেন যে ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন, এআই এবং ডেটা ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং ‘লিকুইড বায়োপসি’ দিয়ে চিকিৎসা এবং নির্ণয়ের উপর জোর দিতে হবে।
পাশাপাশি, চিকিৎসক আব্রাহাম ‘মনোরমা ইয়ার বুক 2023’-এর একটি নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন যে, ‘জিনোমিক প্রোফাইলিং’, জিন এডিটিং টেকনোলজির বিকাশ, পরবর্তী প্রজন্মের ‘ইমিউনোথেরাপি’ এবং ‘সিএআর টি সেল থেরাপি’ এর মাধ্যমে ক্যান্সার রোগের লক্ষণগুলি আগে থেকে চিহ্নিত করা যাবে। তার কথায়, ডিজিটাল প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিহেলথ রোগী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে দেবে।
বিশেষজ্ঞ জেম আব্রাহামের মতে, যখন এই প্রযুক্তিগুলি ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাবে তখন ভারতের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে কীভাবে এটিকে তার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য করে তোলা যায়৷ তবে, বলা ভালো বিশ্বায়ন, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং পরিবর্তিত জীবনধারাকেই তিনি ভারতের মত দেশে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির অনুমান অনুসারে, জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের কারণে, 2040 সালে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা 28.4 মিলিয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা 2020 সালের তুলনায় 47 শতাংশ বেশি হবে। বিশ্বায়ন এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সাথে যুক্ত ঝুঁকির কারণ বৃদ্ধির সাথে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2020 সালে, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক 1.93 কোটি নতুন ক্যান্সারের ঘটনা ঘটেছে এবং প্রায় এক কোটি মানুষ ক্যান্সারের কারণে মারা গেছে।