বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে রদবদলের ইঙ্গিত মিলেছে একাধিকবার। যদিও দেখতে দেখতে জানুয়ারি মাস প্রায় শেষের পথে, এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের অন্দরে রদবদল নিয়ে কোনো খবরই সামনে আসেনি। সম্প্রতি এই রদবদলের জল্পনা আরও একবার উস্কে দিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নিজেই।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) রদবদল নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা
ডায়মন্ড হারবার থেকে ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্পের সূচনার দিনেই জোরালো বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ‘রদবদল হবেই’। এরই মধ্যে দলের (Trinamool Congress) অন্দরে মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। তাই প্রশ্ন উঠছে দলের রদবদল নিশ্চিত হলেও তা হবে কোন ফর্মুলায়? এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে অভিষেকের ‘পারফর্মেন্স’ তত্ত্ব নাকি শেষ কথা বলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফর্মুলা? তা নিয়েই এখন জোর জল্পনা ঘাসফুল শিবিরে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ নিয়েও বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবির। ইদানিং একপ্রকার খোলাখুলি একে অপরের বিরোধিতা করে আসরে নেমেছেন অনেক পরিচিত নেতা। এরই মধ্যে কালীঘাটে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও দলে পাল্লা ভারী হয়েছে প্রবীণ নেতাদের।
আরও পড়ুন: আমূল ‘ভোলবদল’! ফাঁসি হয়নি, যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পর কেমন আছে সঞ্জয়?
সম্প্রতি কাঁথি কোঅপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচনেও দল বেশি গুরুত্ব দিয়েছে প্রবীণ নেতা অখিল গিরির নেতৃত্বকেই। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাধান্য দিয়েছেন সুব্রত বক্সীর প্যানেলকে। এক্ষেত্রে দলনেত্রীর বার্তা খুবই স্পষ্ট। ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’! তাই আগামী দিনেও দলের প্রবীণ নেতাদের গুরুত্ব পাওয়ার সম্ভাবনাই অনেক বেশি।
সম্প্রতি সমবায় ব্যাংকের নির্বাচনে দলে অখিল গিরি যেভাবে প্রাধান্য পেয়েছেন তাতে আগামীতে সংগঠন এবং মন্ত্রিসভাতেও তাঁকে যে আবার স্বমহিমায় দেখা যাবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভাতেও খুব শিগগিরই একটা রদবদল ঘটতে চলেছে। এই বিষয়ে সর্বত্র ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মী সভা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মঞ্চ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বদল আনতে পারেন দলনেত্রী। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা।