হায়দ্রাবাদের শাহেনশা ওয়েসি পশ্চিমবঙ্গে আসছে ঝড় তুলতে, সংখ্যালঘু ভোটে বজ্রাঘাত,আশঙ্কায় তৃণমূল শিবির!

 

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ  মিমের মুখপত্র অসীম ওয়াকার বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামেই আমাদের অস্তিত্ব আছে। আমরা ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এই প্রথমবার আমরা পশ্চিমবঙ্গে কোনও নির্বাচনে লড়ব, আর আমাদের ভাবনা হল প্রতিটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা।”

বিহারের কিষাণগঞ্জ আসনে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে মিম। আর সেখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে অনেকেই। বাংলা লাগোয়া কিষাণগঞ্জ আসনে জয়ের পরে এখন তাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের মুসলমানদের অবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছেন ওয়েইসি। মমতা ও বিভিন্ন মঞ্চ থেকে একাধিকবার আক্রমণ শেনেছে ওয়েসি কে।

 

ইতিমধ্যে কোচবিহারে পোস্টারও পড়েছে মিমের, যেখানে তারা বলেছে, ‘অপেক্ষা শেষ, এবার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ’।ওয়াইসি স্পষ্ট ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন, “ভোটের কথা ভেবে মুসলমানদের তোষণ করা বন্ধ করুন।” তাঁর কথার জের ধরেই ওয়াকার বলেন, “আমরাই একমাত্র দল যারা মুসলমানদের সত্যিকারের অধিকার দেওয়ার জন্য লড়াই করছি।” তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের তৃণমূল স্তরে তাদের দল ছড়িয়ে পড়েছে, এবার তারা ভিত প্রস্তুত করতে চায়।

IMG 20191120 213735 1

তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা যে এই ধরনের সংগঠন যদি পশ্চিমবঙ্গে থাবা বসায় তবে মুসলিম ভোট অনেকটাই ভাগাভাগি হয়ে যাবার আশঙ্কা আর সেখানেই বিজেপির পাল্লা ভারী হতে পারে।পশ্চিমবঙ্গ থেকে 35 টি বিধানসভা কেন্দ্রের মুসলিম আধিপত্য। মুর্শিদাবাদ মালদায় সংখ্যালঘু ভোট এর আধিক্য বেশি। পশ্চিমবঙ্গে 20 পার্সেন্ট ভোট সংখ্যালঘুদের দখলে। মালদার কিছু অংশ এখনো কংগ্রেসের ঝুলিতে। সংখ্যালঘু ভোটের বাম কংগ্রেসের ঘরে আগে যেত। মুসলিম ভোট এরপরে সিংহভাগই তৃণমূলের হাতে যায়। আর এবার দেখার বিষয় যে হিন্দু মুসলিম ভোট নিয়ে যে তরজা চলছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে তা কোথায় গিয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ হয়।

সম্পর্কিত খবর