পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পর এবার বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী নরেন্দ্র মোদীর উপর গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। একদিন আগেই মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন তার হোয়াটসঅ্যাপের এর উপর নজরদারি চলছে। আর এখন উত্তরপ্রদেশের বড়ো নেত্রী মায়াবতী হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন।
বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান বলেন যে সরকার আমাদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি চালায়। এটি কোনও গোপন বিষয় নয়। মায়াবতী বলেছেন সরকার বিরোধী পক্ষের নেতাদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে। মায়াবতী বলেন, এটা খুবই উদ্বিগ্ন এর বিষয়।
মায়াবতী তার টুইটে লিখেছেন, “এটি প্রমাণ করে যে দরিদ্র, শ্রমিক ও নিপীড়িতদের অধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য গ্রামীণ লড়াই করা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।” তিনি লিখেছেন যে এই বিপর্যস্ত পরিবেশে আম্বেদকারের আত্ম-শ্রদ্ধা ও আত্ম-সম্মানের লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির (SP) সভাপতি অখিলেশ যাদব শুক্রবার বলেন যে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেশে জালিয়াতির করার দু: সাহসী প্রচেষ্টাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের ভূমিকা রয়েছে।
এটি মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দেওয়া একটি দু: সাহসিক কাজ। এই বিষয়ে বিজেপি সরকারের ভূমিকা অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। এমনকি বিজেপি সমর্থকরাও এর বিপক্ষে। জানিয়ে দি, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে দেশে নতুন বির্তক তৈরি হয়েছে।
বিরোধী পক্ষের নেতারা কেন্দ্র সরকারের উপর আক্রমণ করার নতুন একটা ইস্যু পেয়ে গেছে। মমতা, মায়াবতী, অখিলেশ সকলে মিলে মোদী সরকারের উপর আক্রমণ করতে নেমে পড়েছে। জানিয়ে দি, এর আগে কেন্দ্র সরকার CBI দিয়ে বিরোধী পক্ষের নেতাদের দমানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছিল।