বাংলা হান্ট ডেস্ক: সামনে দুর্গা পুজো, ইতিমধ্যেই মেতে উঠেছে কলকাতাবাসী। বিভিন্ন শপিং মল চত্বরে দিন দিন বেড়ে চলেছে ভীর। হাতিবাগান, শ্যামবাজার, গড়িয়াহাট, আরও বহু জায়গায় প্রতিনিয়তই দেখা যায় মানুষের ঢল। সকলের উদ্দেশ্য একটাই, সামনে পুজো, পরতে হবে নতুন নতুন জামা-কাপর, উৎসবের মরসুমে জীবনটাকে নতুন করে আরও একবার চাঙ্গা করে তুলতে হবে। প্রতিবছরই কলকাতার দুর্গা পুজোতে কোন না কোন পূজা মন্ডপ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয়। এদেরই মধ্যে অন্যতম কলকাতাশ্রী প্রতিযোগিতা, প্রতিটি দূর্গা পূজা কমিটি অপেক্ষা করে থাকে এই সম্মান অর্জনের নিরিখে।
কিন্তু এবছর এই ‘কলকাতাশ্রী’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না মেয়র ও মেয়র পারিষদদের পুজো। কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম ‘কলকাতাশ্রী’ প্রতিযোগিতার আবেদনপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসে একথা ঘোষণা করলেন।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কলকাতা পুরসভা এবং সিইএসসি–র যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে দুর্গাপুজো প্রতিযোগিতা। বুধবার এই প্রতিযোগিতার আবেদনপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলি করা আরম্ভ হয় পুরসভার সামনে চ্যাপলিন স্কোয়্যারে। মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম পুজো কমিটিগুলির হাতে আবেদনপত্র তুলে দেন।
এই অনুষ্ঠানেই মেয়র জানিয়ে দেন, যে–সব পুজোর সঙ্গে মেয়র এবং মেয়র পরিষদ সদস্যরা যুক্ত রয়েছেন, সেইসব পুজো কমিটি গুলিকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কলকাতাশ্রী প্রতিযোগিতার আবেদনপত্র বিলি চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, সিইএসসি এবং পুরসভার পদস্থ আধিকারিকেরা।
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনের সিংহদ্বারে আবেদনপত্র মিলবে, এছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন থেকেও এই আবেদনপত্র ডাউনলোড করা যাবে। কলকাতাশ্রী প্রতিযোগিতায় ১১টি বিভাগ রয়েছে। কলকাতাশ্রী সেরার সেরা, সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা, সেরা শৈল্পিক উৎকর্ষ, সেরা বিষয়, সেরা আলোকসাজ, সেরা পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতায় সেরা, সেরা সম্ভাবনা, মেয়র্স চয়েস এবং দর্শকের চোখে সেরা পুজো প্রভৃতি।