বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই ছিল পয়লা আগস্ট। সেইসময় ধুমধাম করে পালন করা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস। শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব পা দিল ১০৩তম বছরে। সেই উপলক্ষ্যে লাল হলুদ ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার থেকে শুরু করে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর গোষ্ঠী এবং আরও বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমন্ত্রিত ছিলেন।
সেদিন যাবতীয় আকর্ষণ ছিল ভারতের তারকা মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী এবং কিংবদন্তি টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজকে ঘিরে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে ভারত গৌরব সম্মানে সম্মানিত করা হয় তাদের। ঝুলন গোস্বামী বাঙালি হিসাবে নিজের ইস্টবেঙ্গল প্রীতির কথা তুলে ধরেছিলেন। তবে এই সবকিছুর মধ্যেও একটি মাত্র বক্তব্য দিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা ফিরহাদ হাকিম। ছোটবেলায় ইস্টবেঙ্গলের ড্রেসিংরুম থেকে জার্সি চুরি করেছিলেন, নিজের মুখেই স্বীকার করলেন নারদা কাণ্ডে যুক্ত তৃণমূলের নেতা।
সেদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসাবে যখন তাকে বক্তব্য রাখতে অনুরোধ করা হয় তখন তিনি বলেন “এখানে এসে মনে হচ্ছে বাড়িতে রয়েছি। তার কারণ বাড়িতে যে রকম আবেগ থাকে একটা মানুষের নিজের পরিবার নিয়ে, ঠিক সেইভাবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আমার একটা পরিবার এবং খুব ছোটবেলা থেকে ইস্টবেঙ্গলের সাপোর্টার। কেন যদি জিজ্ঞেস করেন জানিনা আমি। খেলা দেখতে দেখতেই ভক্ত হয়েছিলাম। একবার একটা কাজ করেছিলাম। সেবার লাল-হলুদ ড্রেসিংরুমে ঢোকার সুযোগ পেয়ে ইস্টবেঙ্গল একটা জার্সি চুরি করে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই জার্সিটা চাপিয়ে পাড়ায় তারপর সারাজীবন খেলেছি। এখন আমি আর বিদেশের ফুটবল দেখি না। সেই যে সুরজিৎ সেনগুপ্তের ড্রিবল করে দেওয়া পাস থেকে রঞ্জিতদার গোল, ওই আবেগটাই আর পাই না খুঁজে।”
তার এই কথা শুনে হাসির রোল উঠে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলছেন যে এভাবেই তাহলে ছোটবেলা থেকে চৌর্যবৃত্তিতে হাত পাকিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। যদিও এই বক্তব্যে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে সহজভাবেই নিয়েছিলেন এবং তার কথা ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারাও উপভোগই করেছিলেন।