বাংলা হান্ট ডেস্ক : সময় বয়ে যায়। বছর পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে বিতর্কিত মন্তব্যের সংস্কৃতি আর বদলায় না। এবার কেরলের (Kerala) বামপন্থী নেতা (CPM Leader) এমবি রাজেশ দিলেন বিতর্কিত বয়ান। তিনি দাবি করেন আদি শংকরাচার্য (Adi Shankaracharya) নিষ্ঠুর জাতি ব্যবস্থার সমর্থক ছিলেন। এই মন্তব্যের পরই তুলকালাম বেঁধে যায় গোটা দেশ জুড়ে।
কেরলের বিখ্যাত শিবগিরি মঠের একটি অনুষ্ঠানে রাজেশ এই মন্তব্য করেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি এদিন শ্রী নারায়ণ গুরু এবং শংকরাচার্যের তুলনা করে। তিনি বলেন কেরলে যদি কেউ গুরু থাকেন তাহলে তিনি নারায়ণ গুরু, শংকরাচার্য। রাজেশ আরও দাবি করেন ‘শংকরাচার্য মনুর লেখা গ্রন্থ মনুস্মৃতিকে বেশি গুরুত্ব দিতেন।’ শুধু তাই নয়, ভারতে কঠোর জাতি ভেদ প্রথা শংকরাচার্যের জন্যই শুরু হয় বলে দাবি করেন ওই বাম নেতা।
নারায়ণ গুরুর প্রসঙ্গ তুলে রাজেশ বলেন, ‘দেশে এত কড়াকড়ি জাতিভেদ প্রথার জন্য শংকরাচার্যই একমাত্র দায়ি। কেউ কেউ শংকরাচার্যের পর নারায়ণ গুরুর নাম নেন। কিন্তু এরা ঠিক নয়। নারায়ণ গুড়ু বলেছিলেন, সবাই জাতিভেধ প্রথার দাস হয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য দায়ি শংকরাচার্য।’
রাজেশের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বি মুরলীধরন। তিনি বলেন, নারায়ণ গুরু এবং শংকরাচার্য দুজনেই ভারতীয় সংস্কৃতির সন্তান। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গিই ছিল এক। মুরলীধরন এদিন দাবি করে, ‘এমবি রাজেশ হিন্দু ধর্মে বিভেদ ঘটানোর চেষ্টা করছেন। সিপিম অবর্ণ সবর্ণের কথা বলে সকলের মন বিষিয়ে দিচ্ছেন শুধু মাত্র ভোট পাওয়ার আশায়। শংকরাচার্যের অপমান করলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।’