বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) বিশ্বকাপ জয় এবং ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন তরুণ ভারতীয় দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। এর মাঝের সময়টুকুতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট খেতাব এককভাবে ঘরে তুলতে পারেনি ভারতীয় দল। তাহলে মাঝ সময়টুকুতে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত কি ছিল? ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন ভারতীয়ই এই প্রশ্নের একই উত্তর দেবেন।
আর সেই উত্তর হলো ২০০২ সালে লর্ডসের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ভারতের ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ ফাইনাল জয়। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল হারতে হারতে অবশেষে বিদেশের মাটিতে ভারতের বিজয় পতাকা উড়িয়ে দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং, জাহির খান-রা। আর সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে নায়ক হয়েছিলেন জনপ্রিয় ক্রিকেটার এবং বর্তমানে ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত মহম্মদ কাইফ।
আজ সেই ঐতিহাসিক ফাইনালের ২১ বছর পূর্তিতে একটি বিশেষ মুহূর্ত নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতীয় দলের বহু যুদ্ধের নায়ক কাইফ। ওই ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে সৌরভ এবং সেওবাগের দুর্দান্ত ওপেনিং পার্টনারশিপের পর ভারতীয় দল পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় অত্যন্ত তরুণ কাইফ হাল ধরেছিলেন যুবরাজ সিং-কে সঙ্গে নিয়ে। যুবরাজ শেষ অবধি থাকতে পারেননি, ফলে চাপ বেড়েছিল কাইফের উপর। কিন্তু ক্রিজে থেকে তিনি ভারতের জয় নিশ্চিত করে এসেছিলেন।
তবে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেই দিনের একটি ব্যাপার নিয়ে আফসোস প্রকাশ করেছেন কাইফ। তিনি জানিয়েছেন তার বাবা-মা ফাইনালটি লাইভ দেখেননি চিন্তায়। কিন্তু এর পরে বহুবার কাইফের দৌলতে ওই ম্যাচটির হাইলাইটস দেখা হয়েছে তাদের। ফলে সেই ম্যাচটিতে নিজেদের ছেলের কীর্তি লাইভ দেখার আফসোস মিটে গিয়েছে তাদের।
কাইফ আরও জানিয়েছেন যে নিজের ছেলের ব্যাটিং দেখে নয়, তার বাবা সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে উঠেন তখন, যখন সেই সময়ের ভারতীয় দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে লর্ডসের ব্যালকনিতে নিজের জার্সি খুলে উদযাপন করতে দেখা যায়। ওই আইকনিক মুহূর্তটি প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর মনেই আলাদা একটা ভালোবাসার জায়গায় রয়েছে। কাইফের বাবাও তার ব্যাতিক্রম নন।