খাবার সুস্বাদু করতে ব্যবহার করছে এই ৩ মশলা? এখনই হন সাবধান! মিলল ক্যানসারের উপাদান

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই বেবিফুড প্রস্তুতকারক সংস্থা নেসলেকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল গোটা দেশজুড়ে‌‌। এক ব্রিটিশ সংস্থার দাবি ছিল, নেসলে ভারতের জন্য যে বেবিফুড তৈরি করে তাতে অত্যাধিক মাত্রায় চিনি মেশায়। আর এবার কাঠগড়ায় উঠল ভারতের তিন মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা (Spices Brand)।

স্বনামধন্য সংবাদসংস্থা রয়াটার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনটি ভারতীয় মশলা সংস্থার বেশকিছু পণ্যে মাত্রাতিরিক্ত পেস্টিসাইড খুঁজে পাওয়া গেছে। এবং এই কারণেই সিঙ্গাপুর এবং হংকং-এ এই কয়েকটি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে তদন্ত। ঐ তিনটি সংস্থার কারখানাতে গিয়ে চলছে তদন্ত।

উল্লেখ্য, এই মশলার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’। সূত্রের খবর, সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সমস্ত মশলা কোম্পানির মশলাতে মাত্রাতিরিক্ত ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গিয়েছে। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানাই, এই ইথিলিন অক্সাইড ক্যান্সারের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সূত্রের খবর, ‘এমডিএইচ’,‘এভারেস্ট’ (MDH And Everest Masala Row) এবং ‘মাদ্রাজ কারি পাউডার’ ‘সম্ভার মশলা’ সংস্থার মশলাতে পাওয়া গেছে এই বিষাক্ত উপাদান।

আরও পড়ুন:আদালতে জমা পড়ল সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট, ‘কাকু’র সঙ্গে কার কথা? বিস্ফোরক তথ্য দিল ইডি

সিঙ্গাপুর এবং হংকং-এ মশলাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতেই নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। পরীক্ষা নিরীক্ষা তো চলছেই সেইসব সাথে রফতানিকারকদের অর্ডার ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত সরকার। মশলা বোর্ডের সাথে চলছে আলোচনা। ত্রুটি কোথায় এবং সেই ত্রুটি কীভাবে শোধরানো যায় তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

আরও পড়ুন:‘নির্ভয়া দিদিকে কুরুচিকর আক্রমণ’, অভিষেককে বেনজির তোপ অমিত মালব্যর, ডিজিকে চিঠি পাঠাল মহিলা কমিশন

খবর সামনে আসতেই বেশ চিন্তায় পড়েছেন গ্রাহকরা। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এইসব মশলা ব্যবহার করে আসছেন। সেক্ষেত্রে শরীরে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে গ্রাহকরা। তবে কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা দফতর জানাচ্ছে, এখনই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এক দু’দিনেই যে শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধবে এমনটা নয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই মশলা ব্যবহার করে আসলে শরীরে ক্যান্সারের ঝুকি বেড়ে যায়।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর