নিষিদ্ধ হওয়া PFI-র রাজনৈতিক শাখাকেই সমর্থন BJP-র? অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলল গেরুয়া শিবির

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কর্ণাটকে গ্রাম পঞ্চায়েত (Karnataka Panchayat Election) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে এসডিপিআই (SDPI)-এর এক প্রার্থীকে সমর্থন করেছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। এর জেরে নির্বাচনে জিতেছিলেন এসডিপিআই-এর টি ইসমাইল। এই এসডিপিআই হল পিএফআই (Popular Front of India)-এর রাজনৈতিক শাখা। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া হল একটি ইসলামিক সন্ত্রাসী সংগঠন, যেটিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিষিদ্ধ করেছে কিছুদিন আগেই। এর অর্থ হল যে দল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেই দলও জোট বাঁধছে!

উপরে যা লেখা আছে তা একটা খবর। এটি মাতৃভূমি, বার্তা ভারতী, ডিজিওয়ার্ল্ডের মতো দক্ষিণ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এমনকি হিন্দি-ইংরেজি সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউও এই খবর চালায়। অল্ট নিউজের ফেক ফ্যাক্ট চেকার মোহম্মদ জুবেরও টাইমস নাও রিটুইট করে খবরটি ভাইরাল করেন।

এখন প্রশ্ন হল, বিজেপি কি সত্যিই এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জোট বেঁধেছে? বিজেপি কি সত্যিই এসডিপিআই প্রার্থী টি ইসমাইলকে জিতিয়েছে? সংবাদমাধ্যম এই খবর শোনালেও বাস্তব কিছুটা অন্য। দেখে নেওয়া যাক আদতে কী ঘটেছিল? কর্ণাটকের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলগুলোর নির্বাচনী প্রতীক নেই। এমতাবস্থায় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে কীভাবে জোট হতে পারে?

বিজেপির জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অমিত মানব্য টুইট করে লেখেন যে এসডিপিআই-এর সঙ্গে তাঁর দলের কোনও জোট নেই। তাই তাঁদের সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই আসে না। ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ তেজস্বী সূর্যও অমিত মালব্যের মতো একই প্রশ্ন তুলে টুইট করেন। সংবাদ মাধ্যমের সত্যতা যাচাই করেই সংবাদ প্রকাশের পরামর্শ দেন তিনি।

এসডিপিআই কর্ণাটকের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ পুত্তুর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোটের কথা নিজেই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিজেপি কখনও পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচনে সমর্থনই চায়নি। এসডিপিআই-র কর্ণাটক-ইন-চার্জ নওয়াজ উল্লাল বলেন ভোটের সময় বিজেপি কর্মী ফায়াজ এবং মুহাম্মদ তাদের দলের প্রতিদ্বন্দ্বী এসডিপিআই প্রার্থী টি ইসমাইলকে ক্রস ভোট দিয়েছেন।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর