বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার আবারও বিরলতম রোগের চিকিত্সায় এক বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল৷ এক বছর দুয়েকের শিশুর টিউমার বাদ দিয়ে কেমোথেরাপি বন্ধ করে দিতেই উধাও হয়ে যায় নতুন টিউমারের৷ বর্তমানে সেই শিশুর সম্পূর্ণ সুস্থ৷ হাসপাতাল সূত্রের খবর বছর দু য়েক আগে মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে জন্ম হয় দুই বছরের মিনুর৷ জন্মের পর দেখা যায় তাঁর শিরদাঁড়ার নীচে বিশাল আকৃতির টিউমার৷ তাঁর ওজন এতটাই বেশি যে শিশুটির ওজনের অর্ধেক হয়ে যায়৷
জন্মের পর শিশুটিকে রেখে তাঁর মা পালিয়ে যায়৷ তাঁর রেজিস্টার সংগ্রহ করে যে ঠিকানা মেলে সেখানে যোগাযোগ করে দেখা যায় কেউই থাকেন না৷ তার পর থেকে শিশুটি এখন মেডিকেল কলেজের স্থায়ী বাসিন্দা৷ বর্তমানে শিশুটির দায়িত্ব দিয়েছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ এখনও অবধি সেই মেডিক্যাল কলেজের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি থাকে৷ তবে শিশুটির শরীরে যে টিউমার পাওয়া গিয়েছিল তাতে দু ধরনের ক্যান্সারের কোষ মিলেছিল৷ দ্রুত সেই টিউমারকে বাদ দেওয়ার জন্য বিভাগীয় প্রধান সুকান্ত দাস এর নেতৃত্বে অস্ত্র প্রচার শুরু হয় এবং পরে বায়োপসি পাঠানো হয়৷
এর পর অস্ত্রোপচার করে মিনুর শরীর থেকে সেই টিউমার বের করে এনে কেমোথেরাপি শুরু করেন চিকিত্সকরা৷ কিন্তু তখনই আবার তাঁর তলপেটে আরও একটি টিউমার ধরা পড়ে৷ শিশুটির মৃত্যু অনিবার্য জেনে কেমোথেরাপি বন্ধ করে দেন চিকিত্সকরা কিন্তু তার পরই ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা৷ তাঁর তলপেট থেকে উধাও হয়ে গেল টি উমর৷ কী ভাবে ঘটল এমন ঘটনা? উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না চিকিত্সকরা৷ যদিও গবেষণা চালাচ্ছেন চিকিত্সকরা৷ তবে আপাতত সুস্থ মিনু৷ এটাই চিকিত্সকদের কাছে বড় পাওনা৷