হাসপাতাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট ‘চুরির’ চেষ্টা! রাজনৈতিক চক্রান্ত কি না, চলছে তদন্ত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত ১০ মার্চ নন্দিগ্রাম থেকে নিজের মনোনয়ন জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee )। সেদিনই সন্ধেয় গাড়ি করে ফেরার সময় আহত হন তিনি। তাঁকে তৎক্ষণাৎ ভর্তি করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর যাবতীয় চিকিৎসা সম্পন্ন হয়। তবে এরমধ্যেই এসএসকেএমের ( SSKM ) উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত মেডিক্যাল নথিপত্রের ছবি তোলার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। যার পিছনে কোনো রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে কি না তার জোরদার খোঁজ শুরু হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, হাসপাতালে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই কেবিন থেকে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নথি সংরক্ষণ রুমে। তাখনই ওই দুই কর্মী তার ছবি তুলতে যায় বলে খবর। যদিও সিনিয়র কর্মীদের হস্তক্ষেপে তা করতে সক্ষম হয়নি তারা। ওই দুই কর্মীর তরফে নেহাতই কৌতূহল জনিত কারনে ছবি তুলতে যাওয়া বলা হলেও, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার।

attack on mamata

এমনকি হাসপাতালের তরফে এও জানা যায় যে, ওই দুই কর্মীর এহেন কাণ্ড যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর আহত (Attack On Mamata) হওয়ার ঘটনা যেখানে বিরোধীরা সমবেদনা পাওয়ার বাহানা বলে অভিহিত করছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্টের ( Medical Report of Mamata Banerjee ) ছবি তুলতে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে অনেকেই।

প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ বুধবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূলের পক্ষে চক্রান্ত করে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। এই নিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। পর দিনই নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল। তিনি জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য সিআইডির হাতে।


সম্পর্কিত খবর