বাংলা হান্ট ডেস্ক : আম জনতার মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলতে এই তথ্য যথেষ্ট। এমনিই মূল্যবৃদ্ধির (Inflation) জেরে জেরবার সাধারণ মানুষ। আর এবার সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ শীঘ্রই বাড়তে চলেছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের দাম (Medicine Price)। ব্যথার ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্রায় ৮০০টির মত হার্টের ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে বলে খবর।
ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বার্ষিক পাইকারি মূল্য সূচকের পরিবর্তন অনুযায়ী সরকার ওষুধ কোম্পানিগুলোকে দাম বাড়ানোর অনুমতি দিতে প্রস্তুত। সূত্রের খবর, ০.০০৫৫% হারে বৃদ্ধি পেতে পারে ওষুধের দাম। এখানে বলে রাখা ভালো, গত ২০২২ এবং ২০২৩ সালে যথাক্রমে ১২% এবং ১০% হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল ওষুধের দাম। সেই তুলনায় চলতি বছরের অঙ্ক অনেকটাই কম।
এই নিয়ে ফার্মা কোম্পানিগুলি দাবি করেছে, গত কয়েক বছরে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানের দাম ১৫ থেকে ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। যার মধ্যে প্যারাসিটামলের দাম বেড়েছিল ১৩০% এবং এক্সিপিয়েন্টের দাম বেড়েছে ১৮-২৬২%। অন্যদিকে গ্লিসারিন এবং প্রোপিলিন গ্লাইকোল, সিরাপ সহ দ্রাবকগুলির দাম যথাক্রমে ২৬৩% এবং ৮৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে মধ্যবর্তী পণ্যগুলিও ১১% থেকে ১৭৫%। পেনিসিলিন জি এর দাম বেড়েছে প্রায় ১৭২%।
আরও পড়ুন : বাতিল হবে CAA? আজ বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট! একযোগে ২৩০ মামলা দায়ের
বৃদ্ধি কি প্রয়োজনীয়?
ইতিপূর্বেই ১০০০ টিরও বেশি ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। তাদের মতে, ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সাথে লড়াই করছে।
প্রয়োজনীয় ওষুধ কী কী?
তালিকায় এমন অনেক ওষুধ রয়েছে মার্কেটে যাদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-অ্যানিমিয়া ওষুধ, ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে।