বাংলা হান্ট ডেস্ক : যে চরিত্রগুলিতে একটু একটু করে মিশে আছে তাঁর নিজেরই চোখের জল, মনের রক্ত। এ কথা ষাটের দশকের গোড়ার দিকের। এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আশ্চর্য এক রেকর্ড হয়েছিল, যা আজও অক্ষত। সেরা অভিনেত্রী ক্যাটিগরিতে সব ক’টি নমিনেশন পেয়েছিলেন একজনই। তিনিই মীনাকুমারী!
সেসময় দাপুটে অভিনেত্রী তো কম ছিলেন না তবু নূতন, নার্গিস, মধুবালা, বৈজয়ন্তীমালা, ওয়াহিদা রহমান, আশা পারেখ… কিন্তু এই তারকারা নিজেরাই বলতেন, কষ্টের দৃশ্যে মীনাজির মতো এমন আবেগের বন্যা বইয়ে দেওয়া তাঁদের সাধ্য নয়। এই অসম্ভব সম্ভবে মীনাকুমারী এমন পারদর্শী হলেন কী ভাবে, তা যদি জানতে হয়, তবে প্রথমেই ফিরতে হবে গত শতকের তিরিশের দশকের গোড়ায়।
প্রসঙ্গত,১৯৩৯ সালে ‘লেদার ফেস’ দিয়েই বেবি মেহজবিনের পথ চলা শুরু। তার পরে এন্তার সিনেমায় তাকে দেখা যেতে লাগল। ‘অধুরি কহানি’, ‘পূজা’, ‘নয়ি রোশনি’… সকালবেলায় শুটিং কোম্পানির গাড়ি এসে মেয়েকে নিয়ে যেত।
গাড়ির কাচ নামিয়ে গলা বাড়িয়ে চেঁচাত ছোট-বড়র দল— ‘মেহজবিনকে একটু পড়াশোনা করান না মেহেরবানি করে। ওর কিন্তু লেখাপড়ায় খুব মাথা। শুটিংয়ে অন্য বাচ্চাদের স্কুলের বই চেয়ে চেয়ে পড়ে।’ সে সব কলরব ঢাকা পড়ে যেত পয়সার ঝনঝনানিতে। পরে নায়িকা মীনাকুমারী তাঁর বিখ্যাত কান্নাভাঙা গলায় বলেছেন, তিনি
রূপকথা পড়তে চাইতেন কিন্তু তাকে রূপকথার দৃশ্যে করতে হত নাচগান।
বলা যায় কবি-গীতিকার জাভেদ আখতারের খেদ, মেহজবিনের মতো এমন অপার্থিব নাম, বদলে হল কিনা বিষাদে মীনাকুমারী! এর চেয়ে বড় জীবনের মোড় আর কী কিছুতে আসে!