বাংলাহান্ট ডেস্ক: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটা নাম বেশ চর্চায়। দ্বিতীয় বিয়ে করে হঠাৎ করেই যাবতীয় নেতিবাচকতার কেন্দ্রে চলে এসেছেন সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার সাহা (Durnibar Saha)। প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের (Meenakshi Mukherjee) সঙ্গে সংসার ভেঙে আবারো দ্বিতীয় সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ঐন্দ্রিলা সেনের সঙ্গে আবারো গাঁটছড়া বেঁধেছেন দুর্নিবার। কিন্তু মীনাক্ষীর সঙ্গে অবিচারের অভিযোগে অনেকেই কাঠগড়ায় তুলছেন গায়ককে।
এর মধ্যেই দুর্নিবার মীনাক্ষীর একটি পুরনো ভিডিও নতুন করে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কয়েক বছর আগে দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসেছিলেন তাঁরা। তখন প্রায় দু বছর পূরণ হতে চলেছে তাঁদের বিয়ের। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্বামীকে নিয়ে এক গোপন কথা ফাঁস করেছিলেন মীনাক্ষী।
দুর্নিবারের নাকি স্নান করা বিশেষ পছন্দ নয়। মীনাক্ষী বলেছিলেন, গায়ক স্নান করতেই চান না। শীতকালে একমাস স্নান না করে কাটিয়ে দেন তিনি। এমনকি গরমকালেও এক সপ্তাহ স্নান ছাড়াই থাকতে পারেন দুর্নিবার! শুনেই মাথায় হাত রচনার। সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দুর্নিবার। তিনি নাকি পরিবেশের খেয়াল রাখছেন। স্নান না করে জল বাঁচাচ্ছেন। পাশ থেকে মীনাক্ষী বলে ওঠেন, মাঝে মাঝে ডিওটাও লাগান না দুর্নিবার।
এখানেই শেষ নয়। রচনার কাছে আরো অভিযোগ করেছিলেন মীনাক্ষী। দুর্নিবার নাকি বড্ড অগোছালো। দু বছরেও বদলাননি একটুও। তবে স্বামীর একটা ভাল গুণ বলতে ভোলেননি মীনাক্ষী। দুর্নিবার খুব কেয়ারিং। দু বছরে সেটা বদলায়নি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে প্রেম কাহিনি শুরুর গল্পটাও জানিয়েছিলেন মীনাক্ষী।
জি বাংলার সারেগামাপায় দুর্নিবারকে প্রথম দেখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন মীনাক্ষী। বহু মহিলা ভক্তের মধ্যে থেকেও রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেছিলেন গায়ক। প্রথম পদক্ষেপটাও নিয়েছিলেন তিনিই। মীনাক্ষীই কেন? দুর্নিবার বলেছিলেন, প্রথম যখন তিনি ভালবাসাটা বুঝতে পারেন, তখন মনে হয়েছিল মীনাক্ষীর সঙ্গেই সারাটা জীবন কাটানো যায়।
ভিডিওর কমেন্ট বক্সে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা, একটা মানুষ কীভাবে এত বদলে যায়? একজন লিখেছেন, মীনাক্ষীকে দেখে দুর্নিবারের মনে হয়েছিল এর সঙ্গে সারাটা জীবন কাটানো যাবে। কয়েক দিনেই বদলে গেল সেটা। এখন আবার নতুন জনকে নিয়ে বলবেন একই কথা।